তাড়াশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগে অনিয়ম

0
207
Print Friendly, PDF & Email

ডেস্ক রিপোর্ট:তাড়াশ উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্ধ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছেপ্রতিকার চেয়ে এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জজ আদালতে মামলা দায়েরসহ জেলা প্রশাসক বরাবর মেধা অনুসারে নিয়োগ দেবার দাবি জানানো হয়েছে

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে ও অভিযোগে জানা গেছে, সরকারীভাবে সারাদেশের ন্যায় তাড়াশ উপজেলার মধ্যে ১৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ করার লক্ষ্যে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি সাটিয়ে দেয়গত জানুয়ারী মাসে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি গঠন করে আবেদনকারীদের ২০ নম্বর এর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়নিয়োগ বোর্ডে স্কুলের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী একজন শিক্ষা অফিসার উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের মেধা অনুসারে প্যানেল করে একটি তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করেনউপজেলা নির্বাহী অফিসার ১ মাসের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথাপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা থাকলেও অধিকাংশ আবেদন পরে এসএসসি, এইচএসসি ও বিএ পাশের২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় যারা বেশি নম্বর পেয়েছে, তাদের নাম ক্রমানুসারে সাজিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছেতাড়াশ উপজেলার ধামাইচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩ জন প্রার্থীর নামের তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করেছেএদের মধ্যে স্কুলসংলগ্ন জামাল ফকিরের পূত্র মোঃ নাছির ফকির মেধা অনুসারে প্রথম হয়কিন্তু উপজেলা নিয়োগ কমিটি মেধা অনুসারে চূড়ান্ত তালিকা না করে ৩য় স্থান অধিকারী ফেরদৌস মামুন নামে এক প্রার্থীকে চূড়ান্ত তালিকায় নাম অন্তভূক্ত করে তা প্রকাশ করেছেতাছাড়া ওই প্রার্থীর সার্টিফিকেটের বয়স ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়সের সাথে কোন মিল নেইএ ব্যাপারে প্রথম স্থান অধিকারী প্রার্থী নাছির ফকির সিরাজগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেনমামলা নং ৪৩/২০১৩মামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও বিবাদী করা হয়েছেএ দিকে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগেও অনিয়ম ও দূর্নীতি করা হয়েছে বলে ওই গ্রামের বাসিন্দা গাজী আব্দুস সোবাহান প্রতিকার চেয়ে গত ৬ মার্চ সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেনপ্রকাশ থাকে যে, তাড়াশ উপজেলার এ নিয়োগে একটি সিন্ডিকেট চক্র অর্ধ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছে বলে সচেতন মহলের অভিমতএ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, তিনি জানান সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী এ নিয়োগ করা হয়েছে

 

১০ মার্চ/নিউজরুম

 

শেয়ার করুন