কৃষি ডেস্ক:শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদীর স্লুইসগেটটি ভেঙে যাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে প্রায় দেড় হাজার একর জমি অনাবাদি রয়েছে। এলাকাবাসী সেচসুবিধা নিশ্চিত করার জন্য নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি জানিয়েছে।
রাজনগরের সালেহাবাদ গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম (৩৮) বলেন, ‘স্লুইসগেট ভাঙছে না-তো, আমগর মতো গরিব কৃষকের কপাল ভাঙছে। পানির অভাবে এইবার বোরো চাষ করতে পারি নাই।’
পাউবো ও কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় চেল্লাখালী নদীতে স্লুইসগেট স্থাপনের মাধ্যমে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার একর জমি সেচসুবিধার আওতায় আনা হয়। কিন্তু সংস্কারের অভাবে গত বছর পানির তোড়ে স্লুইসগেটটি ভেঙে যায়। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে সেচসংকট সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বাঘবেড়, নন্নী ও রাজনগর ইউনিয়নের আট শতাধিক কৃষক স্লুইসগেটের উজানে মজুত করা পানির মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সেচসুবিধা ভোগ করেন। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি স্লুইসগেইটি ভেঙে যাওয়ায় এবং নদীতে পানি না থাকায় এবার দেড় হাজার একর জমি অনাবাদি আছে।
স্লুইসগেট পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আহাজ উদ্দিন (৫৮) জানান, স্লুইসগেটটি ভেঙে যাওয়ায় তিনটি ইউনিয়নের কৃষকেরা মহাবিপদে পড়েছেন। সেচের অভাবে অনেকেই বোরো চাষ করতে পারেননি। সেচসুবিধার জন্য নদীতে একটা রাবার বাঁধ নির্মাণ করলে এলাকার কৃষকেরা অনেক সুবিধা পেতেন। কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, স্লুইসগেট না থাকায় এবার কিছু জমি অনাবাদি থাকবে। সেচসুবিধা পেলে কৃষকেরা বোরো আবাদে আগ্রহী হবেন। তবে আউশ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
পাউবোর শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, সেচসুবিধার জন্য এখানে একটি কংক্রিটের গেট করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।ইতিমধ্যে চীন থেকে একটি দল এলাকা পরিদর্শন করে গেছে।
১০ মার্চ/নিউজরুম