নাটোর: জামায়াত-শিবিরের হামলার আশঙ্কায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার বৃহত্তম ব্যবসা কেন্দ্র কুসুম্বী কালীগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। তাই রাত জেগে নিজেরাই পালাক্রমে বাজার পাহারা দিচ্ছেন তারা।
নাটোর জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে নওগাঁর রানীনগর ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সীমান্তবর্তী সিংড়ার ছাতারদীঘী ইউনিয়নের দূর্গম এলাকায় কালীগঞ্জ বাজার অবস্থিত। নাগর নদীর তীরে কালীগঞ্জ বাজারটি প্রাচীনকাল থেকে ধান, সরু ও সুগন্ধি চালের জন্য বিখ্যাত। এখানে পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এ বাজারে সকাল-বিকেল বাজার বসে, দিনরাত খোলা থাকে দোকানগুলো।এছাড়া সপ্তাহের প্রতি রোববার বিরাট হাট বসে। প্রচুর ধান আমদানি হয় এই দিনে।
২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফসহ সাত পুলিশকে মারপিট, পুলিশ ভ্যানে আগুন ও তিনটি ভারি অস্ত্র ছিনতাই করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এছাড়া কালীগঞ্জ ফাঁড়ির সীমান্তবর্তী নন্দীগ্রাম ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ পুরো উপজেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। এরপর কুসুম্বী কালীগঞ্জ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার ড. নাহিদ হোসেন জানান, ফাঁড়িটি অরক্ষিত ছিল। নাগর নদীর উত্তর পাড়ে ফাঁড়িটি অবস্থিত ছিল যেখানে কোনো প্রাচীর নেই, পুরোটাই ফাঁকা।
তিনি আরো জানান, নিরাপত্তার অভাবে ফাঁড়িটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম কাজ করছে ওই এলাকায়।
কালীগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি ও ছাতারদীঘী ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ জানান, নিরাপত্তার অভাবে কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার পর দোকান প্রতি একজন করে মোট ৪০ জন পালা করে রাত জেগে কালীগঞ্জ বাজার পাহারা দিচ্ছে।
মার্চ ০৯, ২০১৩