জামায়াতকে নিষিদ্ধে নির্বাহী আদেশই যথেষ্ট: ড. মিজান

0
194
Print Friendly, PDF & Email

চট্টগ্রাম: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সা‌ঈদীর ফ‍াঁসির রায় ঘোষণার পর বাঁশখালীজুড়ে চালানো জামায়াত-শিবিরের সহিংস তান্ডবকে ‘রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান।

জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সংবিধানে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নির্ধারণ হয়নি, তাই সহিংসতার জন্য নির্বাহী আদেশে এ রাজনীতি বন্ধ করা যায়।’

শনিবার বাঁশখালীতে জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। পরিদর্শনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ স্থানীয়রা তান্ডবের সময় পুলিশ প্রশাসন কোন সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ড.মিজানুর রহমানও।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাঁশখালীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা দেখে অনুভূতি ব্যক্ত করা খুবই কঠিন। ২০১৩ সালে এসে রাষ্ট্রের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে অতি দ্রুততার সঙ্গে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।’

তিনি বলেন, ‘আমি নষ্ট রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দেশের প্রতি বিন্দুমাত্র প্রেম থাকলে মানুষের পেছনে মানুষকে লাগিয়ে দেবেন না। সম্পদ ধ্বংসে করবেন না। মানুষের সম্পদ বিনষ্ট হোক এটা কেউ চায়না।’

তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে মনে হচ্ছে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হয়েছে। এ ঘটনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।’

প্রশাসনের অসহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কোথায় ঘাটতি ছিল সেটা মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন দেয়া হবে। এছাড়া সার্বিক বিষয়েও একটি প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। সংখ্যালঘুদের মনে যেন কোন শংকা না থাকে সেটা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’

বাঁশখালী থেকে ফিরে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।

০৯, ২০১৩

শেয়ার করুন