৯ মার্চ, ২০১৩, গতকাল ছিল ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নিরাপত্তা, মূল্যায়ন, অগ্রগতি, অগ্রাধিকার—এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে নিজেদের অধিকার আদায়ে এখনো নারীদেরসংগ্রাম করতে হচ্ছে। এখনো অনেক ক্ষেত্রে নারীরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।এটা হয় কখনো পারিবারিকভাবে কিংবা কখনো নিজ কর্মস্থলে, যা দুঃখজনক।
পত্রপত্রিকায়প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী নির্যাতনের খবর দেখা যায়। মাঝেমধ্যেথাকে একাধিক খবর, যা সবাইকে হতাশ করে। চলন্ত বাসেও যখন নারী নির্যাতনের খবরশোনা যায়, তখন বোঝা যায়, নারীর নিরাপত্তা বিধানে নারী নির্যাতনকারীদের চরমশাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি নারী নির্যাতন বন্ধ করতে সবার সক্রিয় ও বলিষ্ঠভূমিকা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নির্যাতিত নারীদের পাশে সরকার এবং মানবাধিকারসংস্থাগুলোকে জোরালোভাবে দাঁড়াতে হবে; যাতে তারা যেকোনো সাহায্যের পাশাপাশিসম্পূর্ণ আইনি সহায়তা পায়। কখনো যেন কোনো নির্যাতিত নারী নিজেকে অসহায় মনেনা করে। যৌতুকের কারণে যখন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে; তখন মনে হয় এইযৌতুকলোভী মানুষগুলোর বিবেক-বুদ্ধি সম্পূর্ণ লোপ পেয়েছে। মনে রাখা প্রয়োজন, নারী কোনো পণ্য নয়। প্রত্যেক নারীর সসম্মানের সঙ্গে সুন্দরভাবে নির্বিঘ্নেসামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অধিকার আছে। তাদেরও আছে সমাজের জন্য কিছু করারঅধিকার। সমাজে নারীর মূল্যায়ন এখনো শতভাগ প্রতিফলিত হয়নি। রয়ে গেছে নানাবৈষম্য।
নারীরা এখন পড়ালেখা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে সাফল্যেরস্বাক্ষর রাখছে। পাবলিক পরীক্ষাগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, অনেকাংশেইনারীরা এগিয়ে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও দেখা যায় তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।প্রতিনিয়ত নারীরা মেধার পরিচয় দিচ্ছে শিল্পে, সাহিত্যে, রাজনীতিতে।
নারীঅধিকার নিশ্চিত করতে নারীশিক্ষার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলে, নারী শিক্ষার হার শতভাগ উন্নীতহলে এবং নারী নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও কার্যকর করলেবন্ধ হবে নারী নির্যাতন। নারীরা এগিয়ে যাবে অনেক দূর। আরও অবদান রাখতেপারবে প্রতিটি জায়গায়।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
বসুন্ধরা আ/এ, শ্রীমঙ্গল।