ঢাকা: ফরিদপুর সদর উপজেলার সর্ববৃহৎ কানাইপুর পাটবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৭০ হাজার মণ পাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে পাটবাজারের পেছন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।তবে আগুনের কারণ জানা যায়নি।
৪০টি পাটের দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “পাটের বাজারে আগুন নাশকতা হতে পারে। কারণ মার্কেটের পেছন থেকে আগুন লেগেছে। সেখানে কোনো রাস্তা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পেছনে যেতে পারেননি। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। ৬০ থেকে ৭০ হাজার মণ পাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যার মূল্য ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা।”
দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফরিদপুরের ৩টি, বোয়ালমারীর ও মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের ১টি করে মোট ৫টি ইউনিট।
সর্বস্ব হারানো ব্যবসায়ীদের আহাজারিতে এ এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, প্রতি শুক্রবার কানাইপুর পাট বাজারে হাট বসে। দুপুরে অধিকাংশ ব্যবসায়ী জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে আগুন লাগার খবর পেয়ে লোকজন আগুন নেভাতে ছুটে আসেন।
আগুনে কানাইপুর পাট বাজারের শীর্ষ ব্যবসায়ী সাত্তার মৃধা, শনু মোল্লা, কুমারেশ সাহা, মিনু মোল্লা প্রমুখ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় পাট ব্যবসায়ী পবিত্র পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, “পাটের দোকানের পাশাপাশি এখানে অন্যান্য দোকানও ছিল। এই আগুনের ঘটনায় আমার প্রায় ২০০ মণ মসুরের ডাল পুড়ে গেছে।”
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, “ফরিদপুরের ৩টিসহ মোট ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। দোকানের পেছন থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ সময় আগুন উপেক্ষা করে দোকানের পাট বাঁচাতে গেলে খোরশেদ, হাসান এবং মাহমুদ নামে তিন যুবক আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে এইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন জানান, আগুন লাগার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীর ইন্সুরেন্স নেই। যেকারণে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হবেন তারা।
তিনি আরও জানান, মার্কেটের পেছনে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। তাই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে যেতে পারেনি।
মার্চ ০৮, ২০১৩