ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক: দেশে মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মাসওয়ারি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশে উঠেছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
২০০৫-০৬ সালকে ভিত্তিবছর ধরে এই হিসাব করা হয়েছে। আবার ১৯৯৫-৯৬ সালকে ভিত্তিবছর ধরলেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশে ওঠে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিবিএস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল, উপমহাপরিচালক মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত চাল, ডাল, আটা, মাছ, জ্বালানি তেল, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানায় বিবিএস।
হরতাল ও সহিংস ঘটনার কারণে পণ্য সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে জানান, একধরনের নেতিবাচক প্রভাব তো পড়বেই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আর গ্রামের চেয়ে শহরে মূল্যস্ফীতির হার বেশি লক্ষ করা গেছে।যেমন ফেব্রুয়ারিতে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর গ্রামে এই হার ছিল ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ পর্যালোচনা করে বিবিএস বলছে, গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যসামগ্রী উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ২১ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে প্রধানত চাল, আটা, ডাল, মাছ, মসলার দাম বেড়েছে। আর খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। পরিধেয় বস্ত্রাদি, জ্বালানি তেল, শিক্ষা উপকরণ, পরিবহন খাত, আসবাব ও গৃহস্থালি সেবা খাতের মূল্য বেড়েও মূল্যস্ফীতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে।
বিবিএস আরও বলছে, মূল্যস্ফীতির তুলনায় মাসওয়ারি ভিত্তিতে মজুরির হার বেশি বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় মজুরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর জানুয়ারি মাসে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
৮ মার্চ/নিউজরুম