বিনোদন ডেস্ক: বৃষ্টি, আপনি ‘কনিয়া-চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ নির্বাচিত হয়েছেন, কেমন লাগছে?
অনেকদিনের স্বপ্ন এবার পূরণ হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে। আমি অনেক খুশি। সেরাকণ্ঠনির্বাচিত হওয়ার পর নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়েছে। চেষ্টা করব অর্জনটাসঠিকভাবে কাজে লাগাতে।
ইদানীং অনেকেই নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান না শিখেও রিয়েলিটি শোতে নাম লেখান। আপনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কেমন?
আমিপাঁচ বছর বয়স থেকেই গান শিখছি। আমার মা-ও গান করতেন। তাঁর কাছেই আমারগানের হাতেখড়ি। এককভাবে চট্টগ্রামের শ্রদ্ধেয় নির্মলেন্দু চৌধুরী এবংপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেখানকার আর্য সংগীত পরিষদেও গানের তালিম নিয়েছি। যাঁরসহযোগিতা ছাড়া এত দূর আসা সম্ভব হতো না, তিনি আমার বড় বোন নির্বাচিতা।চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের প্রথম আসরের সেরা দশে ছিলেন তিনি। গানের ক্ষেত্রেতিনি আমার পথপ্রদর্শক।
আপনার গান শুনে সবাই আপনাকে সেরাকণ্ঠ নির্বাচিত করেছে। আপনি নিজে কার গান শোনেন?
বাংলাদেশেরঅনেক কিংবদন্তিতুল্য শিল্পীর গান শুনছি। আমার প্রিয় শিল্পীর তালিকায় আছেনশ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন ও শাহনাজ রহমতুল্লাহ।
গানের বাইরে আর কী করতে ভালো লাগে?
বইপড়তে ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের পাশাপাশি সায়েন্স ফিকশনের জন্যমুহম্মদ জাফর ইকবাল আমার অনেক বেশি পছন্দের। ঘুরে বেড়াতেও বেশ ভালো লাগে।
পড়াশোনা করছেন কোথায়?
আমি চট্টগ্রামের আইইউবিতে বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী। ইচ্ছা আছে, পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতা করব।
তাহলে গানের কী হবে?
গানতো চলবেই। একসঙ্গে দুটি চালিয়ে নিতে আমার কোনো সমস্যা হবে না। ছোটবেলাথেকেই সমানভাবে চালিয়ে আসছি। খুব ইচ্ছা শিগগিরই গানের একটি অ্যালবাম প্রকাশকরার। চলচ্চিত্রের গানের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি।
৮ মার্চ/নিউজরুম