ডেস্ক রিপোর্ট:পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি মামলার অন্যতম প্রধান আসামী তত্ত্বাবধায়কপ্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস ও এসএনসি লাভালিয়নের বাংলাদেশের লোকাল এজেন্টইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফাকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞারঅনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বুধবার কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার,পাসপোর্ট ইমেগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে এই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়।দুদকসূত্রে জানা যায়, কাজী ফেরদৌস ও মোস্তফার পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে এইচিঠি ইস্যু করা হয়। অন্যান্য আসামীদের পাসপোর্ট নম্বর না পাওয়ায় তাদের এতালিকায় অর্ন্তভ’ক্ত করা হয়নি। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থানেয়া হবে দুদক সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, প্রায় ১ বছর অনুসন্ধানশেষে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী মডেল থানায় দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালকআবদুল্লাহ আল জাহিদ বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। যদিও ১ফ্রেরুয়ারি বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পদ্মা সেতুর অর্থায়নেতাদের অনুরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এর সাথে সাথে সহযোগী উন্নয়ন সংস্থাএডিপি, জাইকাও এই প্রকল্পে অর্থায়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় বর্তমানে এইপ্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
এজাহারভুক্ত ৭ আসামী হলেন : সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া,সড়ক ও জনপথ বিভাগেরনির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো.ফেরদৌস, এসএনসি লাভালিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালিস,রমেশ সাহা, আর্ন্তজাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক পরিচালক মো. ঈসমাইল এবং এসএনসিলাভালিয়নের বাংলাদেশের লোকাল এজেন্ট ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকমোহাম্মদ মোস্তফা।
৭ মার্চ/নিউজরুম