শিক্ষা ডেস্ক: দাখিলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মাসুদ রানার বাবার নাম মনতেজ আলী আর মায়ের নামরাফেজা বেগম। কিন্তু সনদসহ সব কাগজপত্রে তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছেজয়নাল আলী ও মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন।
এভাবে ২০১২ সালে ঝিনাইদহেরকালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জনেরই মা-বাবার নাম ভুল লেখা হয়েছে। এদিকে এরকোনো সমাধান না করে মাদ্রাসা ও বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভুলের জন্য একে অপরকে দায়ীকরছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রবেশপত্র পাওয়ার পর মা-বাবার নামভুল দেখে তারা শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শিক্ষকেরাও ভুল ঠিক করে দেবেনবলে কথা দেন। কিন্তু তাঁরা কথা রাখতে পারেননি। ফলে সনদপত্রেও মা-বাবার নামভুল এসেছে। ভুল নামেই বিভিন্ন কলেজ-মাদ্রাসায় তাদের ভর্তি হতে হয়েছে। এভাবেভুল নাম রেখে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেবিড়ম্বনার শিকার হতে হবে বলে শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছে।
মাদ্রাসার সুপারমো. জামাত আলী জানান, ২০১২ সালে তাঁদের মাদ্রাসা থেকে ২৮ জন শিক্ষার্থীদাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২০১০ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ওইশিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করা হয়। পরীক্ষার আগে নিবন্ধন কার্ড ও প্রবেশপত্রআসার পর দেখা যায় ২১ জন শিক্ষার্থীর মা-বাবার নাম ভুল লেখা হয়েছে। ভুলটিকরেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
জামাত আলী বলেন, এমন সময় এই ভুলটা ধরা পড়ে যখনশিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে তাঁরাতখন থেকেই বিষয়টি সংশোধনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বোর্ড থেকে এখনোপর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকেরাপরীক্ষা চলাকালীনই মা-বাবার নাম সংশোধন করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন।তাই তারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষকেরাফলাফলের আগেই সংশোধন করবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে মূল সনদেও দেখা যায় সেই ভুলরয়েই গেছে। এখন তারা বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসায় ভুল নাম নিয়েই ভর্তি হতেবাধ্য হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ২০১০ সালে নিবন্ধন চলাকালীন দায়িত্বে থাকামাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক উপ-রেজিস্ট্রার খোরশেদ আলম বলেন, ‘এটামাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুল। আমরা যাচাই করে দেখেছি বোর্ডের কোনো ভুল নেই।মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে অনেক দেন-দরবার করেছে। কিন্তু কোনোসমাধান করতে পারেনি। এটা তাদের ভুল হওয়ায় তাদেরই সমাধান করতে হবে, বোর্ডথেকে সংশোধন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
৭ মার্চ/নিউজরুম