ডেস্ক রিপোর্ট: কোনোশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।বুধবারসচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৩’ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথাবলেন।তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে সেখানেই আমরা তদন্তকরবো। তদন্তে কেউ চিহ্নিত হলে ব্যবস্থা নেবো। আর, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যশিক্ষামন্ত্রণালয়ের আইন আছে। এছাড়া দেশে প্রচলিত ফৌজদারি আইন তো রয়েছেই।’
এদিকেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করা এবং তা বিকাশেপ্রথমবারের মতো আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণপ্রতিযোগিতা-২০১৩’।এ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী অন্যান্যসাধারণ মেধা অন্বেষণে জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটি সমন্বিতকর্মসূচি গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। যার অংশ হিসেবে এই প্রথম দেশব্যাপিষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম থেকে দশম ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভাষা ও সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ, এই চারটি বিষয়ে ষষ্ঠ হতেদ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র- ছাত্রীদের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি)অংশগ্রহণে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৩’ আয়োজন করা হচ্ছে।
উপজেলাপর্যায়ে আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ, জেলা পর্যায়ে ১৬ থেকে ১৮ মার্চ, বিভাগীয়পর্যায়ে ২১ থেকে ২৪ মার্চ এবং জাতীয় পর্যায়ে ২৯ থেকে ৩০ মার্চ প্রতিযোগিতাঅনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান এপ্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উপজেলাপর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকারক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চলের উপপরিচালকের কাছে নাম নিবন্ধনকরতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।তিনি আরো বলেন, উপজেলা থেকেপ্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনটি গ্রুপে চারটি বিষয়ে ১২ জনকে উপজেলার সেরামেধাবী বাছাই করে জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হবে। প্রতিটি জেলাথেকে একইভাবে ১২ জনকে জেলার সেরা মেধাবী বাছাই করে বিভাগীয় প্রতিযোগিতায়পাঠানো হবে।
সাতটি বিভাগ ও ঢাকা বিভাগীয় মহানগরী থেকে নির্বাচিত ৯৬জন সেরা বিভাগীয় মেধাবী জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করবে। সেখানথেকে নির্বাচন করা হবে জাতীয় পর্যায়ে ‘বছরের সেরা মেধাবী’ ১২ জন। তাদেরকেসনদসহ এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েপ্রায় সাত হাজার বিজয়ীকে অর্থ ও সনদপত্র দেওয়া হবে। দেশেরস্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ হতে দ্বাদশশ্রেণীর দশ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করাযাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী প্রচলিত লেখাপড়ায় ভালো না হলেও অন্য বিশেষকোনো প্রতিভার অধিকারী হতে পারে। এসব প্রতিভা ছড়িয়ে আছে শহর-গ্রামসহসারাদেশে। তাদেরকে যদি সঠিক পথের স্বপ্ন দেখানো এবং সুন্দর আগামীর প্রেরণায়উজ্জীবিত করা যায়, তাহলে আমাদের জাতির সোনালী ভবিষ্যত বাস্তবায়ন সম্ভব।
৬ মার্চ/নিউজরুম