ডেস্ক রিপোর্ট:জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গত কয়েক দিনে জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরেছেন। এ সময় তিনিবলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের অশুভ চক্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে পল্লীবিদ্যুতের অফিস এবং সমিতির আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়েপুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানাযায়। জামায়াত-শিবিরের এ তাণ্ডবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা সমর্থন দেন বলে জানাযায়।
গত বৃহস্পতিবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর থেকেজামায়াত-শিবিরের টানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর পরে সংসদে আজ মঙ্গলবারবিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন।
জামায়াত-শিবিরেরকয়েক দিনের টানা সন্ত্রাস, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ওহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে থাকলেওসরকারের পক্ষ থেকে কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ভাষ্য বা প্রেসনোটদেয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ নেতা মামুনকেজামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হত্যা করে। তার বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে জখম করাহয়। পরে হাসপাতালের নেওয়ার পথে মামুন মারা যায়।’ তিনি বলেন, ‘গত ২৮ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় দুলাল সেনের বাড়িতে আগুন দেয়জামায়াত-শিবিরের নেতারা। তাঁর শ্বশুর বাধা দিলে তাঁকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।পরে তিনি মারা যান।’গত বৃহস্পতিবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসিররায়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ডের বিচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসী আইনে হবে বলে জানানস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
৫ মার্চ/নিউজরুম