ডেস্ক রিপোর্ট: পদ্মাসেতুর নকশায় ১১৬ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনেদাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানি দল।মঙ্গলবারমির্জা জাহিদুল আলমের টিমের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন দাখিল করে এবং একই সাথেআরো অনুসন্ধানের সময় চেয়ে আবেদন করেন বলে দুদক সূত্রে জানা যায়। ২২জানুয়ারি পদ্মা সেতুর নকশায় দুর্নীতি নিয়ে ৪ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠনকরে দুদক।দুদক সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর নকশায় দুর্নীতির বিষয়েসাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াসহ বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যদেরজিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে বিধায় সময় চেয়ে এ আবেদন করা হয়। দুদক এসংক্রান্ত বিষয়ে সেতু বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ৩৭টি ফাইল সংগ্রহ করে। কাজপাওয়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মনসেল এইকম-এর স্থানীয় সাব-এজেন্টএসিই কনসালটেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. গোলাম মোস্তফাকেইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মির্জাজাহিদুল আলমের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। টিমেরঅন্যান্য সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নাল আবেদীন শিবলী, গোলামশাহরিয়ার চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল জাহিদ।
অভিযোগ রয়েছে, নকশা চুড়ান্তনা করেই যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মনসেল এইকম তৎকালিন প্রকল্পপরিচালক রফিকুল ইসলামের সহায়তায় পুরো ১১৬ কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।সংশ্লিষ্টদের ১০ পার্সেন্ট দেয়ার আশ্বাসে এই টাকা ছাড় দেয়া হয় বলে জানাগেছে। গত ৩ জানুয়ারি দুদক অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়।পরামর্শকনিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক সেতু সচিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনকমিশনের (দুদক) একটি মামলা করলেও ১০ পার্সেন্ট কমিশন পাওয়ার জন্য পরামর্শকপ্রতিষ্ঠান হিসেবে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী মনসেল এইকম লিমিটেডকে ১১৬ কোটিটাকা দেয়ার অভিযোগ দুদকের নজর এড়িয়ে যায়।জানা গেছে, পদ্মা সেতুরনকশা চূড়ান্ত না করেই পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের তৎকালীন প্রকল্পপরিচালক রফিকুল ইসলামের সহায়তায় এই টাকা তুলে নেয় পরামর্শক এইকম লিমিটেড।প্রতিষ্ঠানটি এই টাকা নেয়ার পর নকশা চূড়ান্ত করতে আরও ৭০ কোটি টাকা চায়।তবে সে টাকা দেয়া হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি।২০১০ সালের ২৮ নভেম্বরতৎকালীন প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলামকে লেখা সাবেক সেতু সচিব মোশাররফহোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্র (ইউও নোটনং৫০.১২৫.০১৪.০০.০০.১৫৫.২০০৬(ভ-৪)-৩৪১) থেকে এই তথ্য জানা গেছে। চিঠির তথ্যঅনুযায়ী, সেতুর জন্য বিস্তারিত নকশা চূড়ান্ত না করেই চুক্তির এ টাকা তুলেনেয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইকম।আরো জানা যায়, সাবেক সেতু সচিবমোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে দেখা যায়, চুক্তি অনুযায়ীশতভাগ পেমেন্ট তাদের দেয়া হয়েছে নকশা না করেই। যার অনুলিপি তৎকালীন মন্ত্রীসৈয়দ আবুল হোসেনকেও দেয়া হয় বলে জানা যায়।
৫ মার্চ/নিউজরুম