৫ মার্চ, ২০১৩, গরমের আঁচ বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাশন-সচেতনেরা ভাবছেন, এবারের গরমে কোন ধরনের পোশাক পরবেন। কামিজের ঝুল কি আগের মতো লম্বা হবে? সঙ্গে লেগিংস বা টাইটস কি এখনো পরা যাবে? কাট কেমন হবে?—এমন চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। বাজার ঘুরে দেখা গেল, সুতির পোশাকের চাহিদা থাকবেই। গরমে সুতির আবেদন কমার নয়। ফ্যাশনেবল পোশাকটা হওয়া চাই সুতিরই। সঙ্গে রংবেরঙের লেগিংস।
ঢাকার বড় শপিং মলগুলোর পাশাপাশি বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট ও নিউমার্কেট ছেয়ে গেছে বাহারি রঙের লেগিংস দিয়ে। ভিসকস ও নিট কাপড়ের লেগিংস বেশি চলছে। উলের লেগিংস তেমন নেই। দোকানিরা জানান, লেইস দেওয়া ও লেইস ছাড়া—দুই ধরনের আরামদায়ক ও হালকা লেগিংস বেশির ভাগ কিনছেন। আর গাউসিয়া, চাঁদনী চকে গজ কাপড়ের সমাহার ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাপা গজ কাপড়ের পাশাপাশি বল প্রিন্টের ও এক রঙের কাপড়ের চাহিদাও আছে। সাদা ও চাপা সাদা রঙের কাপড় এবারও কিনছেন সবাই।
স্টুডিও এমদাদের স্বত্বাধিকারী এমদাদ হক জানান, গাঢ় রংগুলোর হালকা শেড চলবে। কামিজের ঝুল হাঁটুর সামান্য নিচ পর্যন্ত থাকবে। গত বছরের মতো অনেক বেশি ঝুল চলবে না। কামিজের ঘেরও কমে যাবে। তবে ফ্রক কাট প্রাধান্য পাবে। আর কুর্তায় এ লাইন কাটই থাকবে।কুর্তার সঙ্গে পাতিওয়ালা সালোয়ার ভালো দেখাবে। গলায় ভি-কাট জনপ্রিয় হতে পারে। থ্রি-কোয়ার্টারসহ ফুলহাতার পাশাপাশি স্লিভলেসও চলবে।
পোশাকে কালার ব্লক দেখা যাবে এ বছরের গরমের ফ্যাশনে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরার থেকে কনট্রাস্ট ও বাহারি লেগিংস পরার প্রতি ঝোঁক থাকবে। লেইস আর প্যাচওয়ার্ক দিয়ে নকশা করা চল দেখা যাবে। ফিরোজা, নীল, মভ ও প্যাস্টেল রংগুলোকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া টাইডাই, প্রাকৃতিক রঙে তৈরি পোশাক চলবে এবারের গরমে। নগরদোলার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আফজাল বলেন, ‘গরমে সবাই আরামের কথাই আগে বিবেচনা করেন। সেটি মাথায় রেখেই পোশাক তৈরি করা হয়েছে। তিনটি রঙের শেড দিয়ে আমরা ত্রয়ী নামের পোশাক তৈরি করেছি। সঙ্গে নিতে পারবেন রংবেরঙের লেগিংস। চাইলে সালোয়ারও নিতে পারবেন।’
গরমে হালকা সাজের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে মেয়েরা। কমপ্যাক্ট বুলিয়ে চোখে সামান্য কাজল ও ঠোঁটে হালকা রঙের কোনো লিপস্টিক দিলেই চলবে। চুলটাকে পনিটেইল, বেণি বা খোঁপা করে নিতে পারেন। আর পায়ে আরামদায়ক ফ্ল্যাট স্যান্ডেল।