ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট বা সহিংসতার কারণে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে।পচনশীলও অপচনশীল পণ্যসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশমুখী প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার ট্রাকএরই মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশনএলাকায় আটকা পড়েছে। খবর ভারতীয় পত্রিকা বিজনেস লাইন-এর।
বাংলাদেশেরসাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনারঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর ও মালদা জেলার মাহাদিপুর শুল্কস্টেশন দিয়ে পণ্যসরবরাহের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। একইভাবে যশোরের বেনাপোল ও পশ্চিমবঙ্গেরপেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়েও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য তথাআমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমে গেছে।
স্থানীয় কিছু ইস্যুকেকেন্দ্র করে গত মাসে ভোমরা-ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে সীমান্ত-বাণিজ্য বেশব্যাহত হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায়দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য আরও স্থবির হয়ে পড়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদেরবিচারকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতেও ভারতীয় ট্রাকগুলো বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে স্বদেশেফিরেছে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক সংগঠন সারা বাংলা ট্রাক পরিচালক সংগঠনসমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ মিত্র।
অসমর্থিত তথ্য অনুযায়ীবাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে এখন দৈনিক গড়ে প্রায় ২০০কোটি রুপির ব্যবসা কম হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকারদ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট বার্ষিক পরিমাণ হচ্ছে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা২২ হাজার কোটি রুপি। এর প্রায় ৮০ শতাংশই সংঘটিত হয় বেনাপোল-পেট্রাপোলসীমান্ত দিয়ে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় সেগুলোর মধ্যেরয়েছে: কাঁচা তুলা, কৃষিপণ্য, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও যানবাহনেরযন্ত্রাংশ, সিমেন্ট ও ইস্পাত।
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত পোশাক, কাঁচা পাট, মাছ ও বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানি করে থাকে।
অমিতাভমিত্র বলেন, সীমান্তের কাছে অপেক্ষমাণ থাকা বাংলাদেশমুখী পণ্যবাহীট্রাকগুলোতে পিঁয়াজ ও বিভিন্ন সবজিজাতীয় পচনশীল পণ্য রয়েছে। বাংলাদেশেপরিস্থিতির উন্নতি না হলে এসব পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ওপররপ্তানিকারকদের পরিবহন খরচও ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।
ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিংএক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (ইইপিসি) সহসভাপতি অনুপম শাহ বলেন, বাংলাদেশে অবস্থা আরও খারাপ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যও সঙ্গিন হয়ে উঠতে পারে।
তুলাও বস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিটি লিমিটেডের যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালকসঞ্জয় জৈন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদে চলতে থাকলেতাতে ভারতের সুতা রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
৪ মার্চ/নিউজরুম