৩ দিনের হরতালের প্রথম দিনে বগুড়ায় সহিংসতায় নিহত ৭

0
151
Print Friendly, PDF & Email

বগুড়া: টানা ৩ দিনের হরতালের প্রথম দিন রোববার ব্যাপক সহিংসতা অশান্ত হয়ে উঠেছে বগুড়া। রোববার সকালে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত তিন জন নারী।

জামায়াতের কর্মীরা শাহজাহানপুর থানায় হামলা করলে সেখানে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) সৈয়দ সায়েম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) আবদুল ওয়ারেস বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে, জামায়াতের কর্মীরা আগুন দিয়েছে তিনটি পুলিশ ফাঁড়িতে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, রেল স্টেশনসহ আরও কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা। 

পুরো শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সায়েম বলেন, সকাল থেকেই জামায়াত শিবিরের কর্মীরা শহর জুড়ে তাণ্ডব শুরু করে। তাদের নিজেদের গুলিতেই নিহত হয়েছে তিন জন।

তিনি বলেন, থানায় জামায়াতের হামলার কারণে থানা রক্ষায় সেনা সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন।

এর আগে সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ও সাবেক আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য আমানুল্লাহ খানের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় শিবির কর্মীরা। 

আওয়ামীলীগ জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রাগীবুল আহসান রিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল ওয়ারিস জানান, শহরেই ১০ হাজারের বেশি জামায়াত-শিবির কর্মী তাণ্ডব চালাচ্ছে। শহরতলী পর্যন্ত তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়েছে। মোকামতলা, ফুলবাড়ি, উপশহর, স্টেডিয়াম ফাঁড়িতে ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে শিবির কর্মীরা।

শেরপুর রোড ইয়াকুব স্কুল মোড় করতোয়া কন্টিনেন্টাল ও এটিএন ইলেক্ট্রনিক্স ভাঙচুর করছে। এবং সাতমাথা থেকে শুরু করে বনানী পর্যন্ত অনেকগুলো দোকান ভাঙচুর করেছে জামায়াত কর্মীরা। শেরপুর রোড এলাকায় নারী পুরুষ লাঠি হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান পুরো শহরেরই তাণ্ডব চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। 

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াজউদ্দিন জানান, তিনি থানার পাশে নিজের সরকারি কোয়ার্টারে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

এদিকে দুপচাপিয়া থেকে খবর এসেছে সেখানেও থানা ঘেরাও করেছে জামায়াত শিবির কর্মীরা।

 মার্চ ০৩, ২০১৩

শেয়ার করুন