রেলস্টেশন
ভাটি এলাকার সিংহদ্বার কুলিয়ারচর রেলস্টেশন। প্রতিদিন অষ্টগ্রাম, মিটামইন, বাঙ্গালপাড়াসহ অনেক ভাটি এলাকা থেকে হাজার হাজার লোক কুলিয়ারচর রেলস্টেশন দিয়ে আসা-যাওয়া করে। অতীব দুঃখের বিষয়, রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মটি ভেঙে যাচ্ছে এবং নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, শত শত লোক (ভাসমান) স্টেশনে ঘুমাচ্ছে। কাজের সন্ধানে তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে আসে। সারা দিন কাজ করে আবার স্টেশনে ঘুমোচ্ছে। এই শত শত লোক যেখানে-সেখানে পায়খানা করে স্টেশনের পরিবেশ নষ্ট করছে। দুর্গন্ধে স্টেশনের অবস্থা বা পরিবেশ নষ্ট হয়। স্টেশনের দিঘিটি ভরাট করা হোক, এটা আমাদের দাবি। তৃতীয়ত, এখানে মানসম্মত কোনো বিশ্রামাগার নেই। স্টেশনমাস্টারের বারান্দায় এবং তাঁর অফিসে সবাই বসে থাকে, বিশ্রামাগার যেটা আছে সেটা একশ্রেণীর লোকের দখলে থাকে। আশা করি, সমস্যা সমাধানে যথাযথ কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দেবে।
সলিল রায়
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক
কুলিয়ারচর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, কুলিয়ারচর।
রিচার্জ চাঁদাবাজি
বিষয়টি সত্যিই আনন্দের যে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এত অল্প সময়ের মধ্যেই মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটিতে পৌঁছেছে, যা দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা চলে।
একটি জরিপে দেখা গেছে, এই ব্যবহারকারীদের বড় একটা অংশ হলো নিম্নমধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র পেশাজীবী ও অল্পশিক্ষিত লোকজন। সে হিসাবে সর্বাধিকার রিচার্জের পরিমাণ হলো ১০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু দুঃখজনক খবর হলো, পাঁচ-ছয় মাস ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, দেশের রিচার্জ পয়েন্টগুলোতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে স্থানভেদে এক-দুই টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে, যা নিয়মে পরিণত হতে চলেছে দিন দিন। তার ওপর অপারেটরদের ৪১২, ৪১৯, ৪২১, ৪৫৩ প্রভৃতি অঙ্কের রিচার্জ অফারগুলো যেন এ কাজে উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে রিচার্জ ব্যবসায়ীদের। যেখানে এ দেশে ‘খুচরা’ না থাকার অজুহাতে ক্ষেত্রবিশেষে টাকার কয়েনের বদলে চকলেটের প্রচলন পরিলক্ষিত হয়, সেখানে এসব ভাংতি অঙ্কের অফারের মানে কী? এসব খুচরা দুর্নীতি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে চলেছে। এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।
এ অবস্থা চলতে থাকলে সম্ভাবনাময় ও অত্যাবশ্যক এ খাতের তৃতীয় প্রজন্মের পথচলা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে ধারণা বিশিষ্টজনদের। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাকিবুল হাসান
সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।