‘সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়’: মির্জা ফখরুল

0
110
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা: ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি এও বলেন, “জনগণের দাবি তত্ত্বাধায়ক সরকারের আন্দোলন বন্ধ করতেই সরকার এসব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।”

শনিবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।
 
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা।
 
তিনি বলেন, “এই রক্তপিপাসু সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা না দিয়ে নানা অযুহাতে পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে।”
 
মুসলমান-হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বন্ধন নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

তিনি বলেন,  “সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তারা বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচন করতে, নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল ও নির্দলীয় সরকারের দাবি উপেক্ষা করে নতুন নতুন ভেল্কীবাজি শুরু করেছে।”
 
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই প্রতিবাদ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
 
গত কয়েকদিন সারাদেশে সহিংসতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে দলটি রাজধানীসহ সারাদেশে এই প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বিকাল ৪টায় মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।

এ ছাড়া মিছিলে দলের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, ড. ওসমান ফারুক, অধ্যাপক এম এ মান্নান, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, খন্দকার গোলাম আকবর, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানী, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুব দলের সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, ছাত্র দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ।
মিছিল শেষে যুবদল সভাপতিকে সুস্থ দেখলেও তার এপিএস জাহাঙ্গীর আলম জানান যুবদলের এই নেতার পায়ে স্পিন্টার লেগেছে।

মার্চ ২, ২০১৩

শেয়ার করুন