নীলফামারীতে বিজিবির গুলিতে নিহত ১, আহত ৫০

0
389
Print Friendly, PDF & Email

নীলফামারী: নীলফামারীতে জামায়াত-শিবির ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি)সদস্যদের সংঘর্ষে আতিকুল ইসলাম (১৮) নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় ৫০ জন আহত হয়েছেন।শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়ার আনিছুর রহমানের ছেলে আতিকুল।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস কুমার পন্ডিত  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বিকেলে জলঢাকা পৌর এলাকার রাজার হাট এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে জামায়াত শিবির মিছিল বের করলে বিজিরি’র  সদস্যরা তাদের বাধা দেয়।

এ সময়  তারা বিজিবি  সদস্যদের ওপর হামলা চালালে ৪ বিজিবি সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি মোকাবেলায়  বিজিবি  গুলি  ছুড়লে  এক শিবির কর্মী নিহত হন।

আহত বিজিবি সদস্যদের জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন  আহত হন।

একইভাবে ডিমলায় জামায়াত-শিবির মিছিল বের করলে  পুলিশ  জনতা বাধা দেয়। এ সময়  পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ৬ জনকে ডিমলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, বিকেলে জেলা শহরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে জামায়াত-শিবির শহরের গাছবাড়ি থেকে একটি মিছিল বের করে।

মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় কালিবাড়ি মোড় হয়ে আনন্দবাবুর পুলের দিকে যাওয়ার সময় শহরের  বিভিন্ন  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  ভাঙচুর শুরু করে মিছিলকারীরা।

জামায়াত-শিবির কর্মীরা সবুজ পাড়ায় অবস্থিত বিএমএর সভাপতি ডা. মমতাজুল ইসলামের বাড়িতে ও আনন্দবাবুর পুল এলাকার নীলফামারী ক্লিনিকের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে।

এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।

 মার্চ ০২, ২০১৩

শেয়ার করুন