শিক্ষা ডেস্ক: ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও সেমিনার উপস্থাপনার এক ব্যস্তময় মুহূর্ত।এগুলো শেষ করে আবার ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বাসায়/মেসে যাওয়া। বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। আড্ডার স্থানগুলোয় যেন ব্যতিক্রম নেই। সেই ক্যাম্পাস ফটক, শহীদ মিনার, ভাস্কর্য কলা ভবন, বিজ্ঞান অুনষদের মাঠ, বাহাদুর শাহ পার্ক, লক্ষ্মীবাজারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে চলে সন্ধ্যাভর আড্ডা। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে ক্লান্তি এসে ঝড়ো হয় শরীরে। পরের দিন টার্মটেস্ট থাকলে আবারও টুকটাক পড়াশোনা। এরপর গভীর ঘুম।এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তারুণ্যময় জীবন। মাঝেমাঝে আবার এটা একগুঁয়েমিতে রূপ নেয়। আর সেই একগুঁয়েমি জীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ আয়োজন করে ব্যতিক্রমী সব শিক্ষা সফর। ৩ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের ৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে বন্ধুত্বপূর্ণ শিক্ষা সফর। আর এ শিক্ষা সফরের গন্তব্যের তালিকায় ছিল রাঙামাটি, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, ছেড়াদ্বীপ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ধ্যায় সবার জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও নিজেকে গুছিয়ে আসতে রাত ১০টা বেজে যায়। পরে হুড়মুড় করে ক্যাম্পাস থেকে বাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আনন্দভ্রমণ। ক্যাম্পাস জীবনে যারা বাথরুম সিঙ্গার হিসেবে খ্যাত তারাও ‘আমিও পারি’ বলে নিজেকে জাহির করতে জোর গলায় বেসুর সুরে জুড়ে দেয় জনপ্রিয় সব গান, যা বাসের ভেতর এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করে।
সারা রাত হৈহুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে প্রথমে রাঙামাটিতে পৌঁছে শিক্ষার্থীরা।এরপর তারা রাঙামাটি, কক্সবাজার, সেন্টামর্টিন, ছেড়াদ্বীপের সব দর্শনীয় স্থানগুলো ঘোরে বেড়ান। সফরের আনন্দ-উল্লাস উপভোগ করার পর এবার ফিরে আসার পালা। ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যেমনটা দেখাচ্ছিল তার উল্টোটা ঘটে ঠিক ৮ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসার সময়। সবার চোখ-মুখে কেমন যেন একরাশ বিরক্তি/বিষণ্নতা ও মনমরা ভাব!
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের এতটা বছরে যতটুকু আনন্দ করেছি, তার থেকেও বেশি আনন্দ করেছি এই কয়েকদিনে। নিজের অভিজ্ঞতা অকপটেই বর্ণনা করলেন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই কথা বলেন আকরাম-উল ইসলাম, সুজাউদ্দিন, তানভীর রায়হান, শাহরিয়ার, অরোপ ভৌমিক, হারিস, ইয়াকুব হোসেন, জান্নাত আরা বর্ষা, পলি রানী দেব প্রমুখ শিক্ষার্থী।
২ মার্চ/নিউজরুম