ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর আগামী রোব ও সোমবার সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সঙ্গে মঙ্গলবার বিএনপি সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে। এর ফলে এ সপ্তাহে ৩ দিনের হরতালের কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ২ দিনের হরতাল কর্মসূচি দেন।
একইভাবে শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ৫ মার্চ মঙ্গলবার হরতাল আহবান করেন।
জামায়াতের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় প্রত্যাখ্যান করে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানায়। সরকার এ প্রতিবাদ স্তব্ধ করে দিতে সারা দেশে ৪০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এর প্রতিবাদে হরতালসহ এসব কর্মসূচি দেওয়া হয়।’
রাত আটটার দিকে পৃথক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ দাবি করেন, ‘সাঈদীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় ঘোষণার পর সাধারণ জনতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ জানালে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করেছে। তিন হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে ৫০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কোনো যুদ্ধরত দেশেও এভাবে এক দিনে ৫০ জন লোকের নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়নি।’
বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ‘নিরীহ নাগরিক হত্যার’ প্রতিবাদে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকামী সংগঠন, জাতিসংঘ ও দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি হরতালসহ ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
একইভাবে খালেদা জিয়া শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি সরকারের কাছে এ মূহূর্তে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবে গণহত্যা চালাতে পারে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গণহত্যার পৈশাচিক তাণ্ডবে মেতে উঠেছে সরকার। বৃদ্ধ, শিশু কিশোর, এমনকি গৃহবধূ পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না। পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী সবার উদ্দেশে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করুন।”
তবে বিএনপির পক্ষে জামায়াতের প্রথম ২দিনের হরতালের বিষয়ে এখনো কোনো সমর্থন দেয়া হয়নি।
, মার্চ ০১, ২০১৩