১ মার্চ, ২০১৩, খুব কমমেয়েই খুঁজে পাওয়া যাবে, যাদের হাতব্যাগে ঠোঁট রাঙানোর অন্তত একটিলিপস্টিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তো বটেই, বিকেলে বা সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময়ও অনেকে ঠোঁটে একটু লিপস্টিক ঘষেনেন। মেয়েদের ‘অত্যন্ত জরুরি’ এই প্রসাধন উপাদান কিন্তু মানবসভ্যতার অতিপ্রাচীন সময় থেকেই ব্যবহূত হয়ে আসছে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার নারীরাতাঁদের ঠোঁট রাঙাতে লিপস্টিক ব্যবহার করতেন। ঠোঁট রাঙাতেন প্রাচীন সিন্ধুসভ্যতার নারীরাও। মধ্যযুগে তো রীতিমতো ধর্মীয় ফতোয়া দিয়ে মেয়েদের ঠোঁটরাঙানোর অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ইসলাম অবশ্য মেয়েদের এই অধিকারফিরিয়ে দেয়। ইসলামের স্বর্ণযুগে নতুন ধরনের লিপস্টিকের উদ্ভব ঘটে। আরবেরপ্রসাধনবিদেরা সে সময় লিপস্টিকে বিভিন্ন সুগন্ধির সংমিশ্রণ ঘটান। এভাবেমেয়েদের ঠোঁট রাঙানোর ব্যাপারটি বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরোতে থাকলেও ষোড়শশতকের আগ পর্যন্ত লিপস্টিকের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়নি। ১৮৮৪ সালেপ্যারিসের প্রসাধন প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিপস্টিক তৈরি করেন।ওই সময় লিপস্টিক তৈরি হতো রেড়ির তেল (ক্যাস্টর অয়েল) ও মৌচাক থেকেসংগৃহীত বিশেষ ধরনের মোম থেকে। আধুনিক যুগে নির্বাক ছবির জনপ্রিয়তালিপস্টিকেরও ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়। ১৯২০ সাল থেকে ঠোঁট রাঙানোর জন্যবিভিন্ন রঙের ব্যবহার শুরু হয়। ব্রিটেনের রানি প্রথম এলিজাবেথের ব্যবহূতকালচে লিপস্টিক এ সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিরিশের দশকে লিপস্টিকবিক্রি হতো টিউবে। চল্লিশের দশকে নিচের দিক দিয়ে ঘুরিয়ে লিপস্টিকের মুখবের করে ব্যবহারের ব্যাপারটির প্রচলন ঘটে। এত বছর পরও লিপস্টিক ব্যবহারেরএই জনপ্রিয় ধারাটির অবশ্য খুব একটা উনিশ-বিশ হয়নি।