ঢাকা: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সংক্ষুব্ধ। আমরা এ রায়ের বিরু্দ্ধে আপিল করবো।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সাঈদীর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের উপর ডিফেন্স টিমের প্রতিক্রিয়ায় নিজ বাসভবনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজ্জাক বলেন, “আমরা মনে করি সাঈদীর বিরুদ্ধে এই রায় সম্পূর্ণ ন্যায়ভ্রষ্ট। সাঈদীর উপর চরম অবিচার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত ২০টি অভিযোগের একটিও প্রমাণ করতে পারেন নি আদালত। প্রসিকিউশনে ২৮ জন সাক্ষীর বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোর প্রত্যেকটি অস্বচ্ছ প্রমাণিত হয়েছে। এর বাইরে ১৬ জন সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “কথিত এই খুঁজে না পাওয়া সাক্ষীদের মধ্যে উষা রানি টেলিভিশনে পরিষ্কারভাবে বলেছেন- তার স্বামী হরলাল মালাকারের হত্যার সঙ্গে মওলানা সাঈদী কোনভাবে জড়িত নন। অপর এক সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি তার ভাই বিশা বালি হত্যার ব্যাপারে সরকার পক্ষের মিথ্যাচার ফাঁস করে দেওয়ার জন্য আদালত পর্যন্ত এলেও ৫ নভেম্বর পুলিশ তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।”
সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো যে কত বড় মিথ্যাচার সুখ রঞ্জন বালির প্রতি সরকারের আচরণ থেকে তা প্রমাণ হয়েছে বলেও দাবি করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত ওই সাক্ষী মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এর প্রমাণ ৫ শতাধিক পৃষ্ঠার দলিলপত্র আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল একে অকাট্য বলে গ্রহণ করেন নি।”
রাজ্জাক বলেন, “বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হওয়ার পর গোটা বিশ্ব দেখেছে যে, বিচারক ও প্রসিকিউশনের জোগসাজশে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা। এভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিথ্যাচারের স্বীকার হয়েছেন সাঈদী।
তিনি বলেন, “আইনের সুযোগ থাকার পরও প্রসিকিউশনে ২৮ জন সাক্ষীর বিপরীতে মাত্র ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রসিকিউশন সাক্ষীদের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেরা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এত প্রতিবন্ধকতার পরেও প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে মওলানা সাঈদীকে সাজা দেওয়ার মত নূণ্যতম উপাদান না থাকার পরও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৩