শিক্ষা ডেস্ক: বরিশালেধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষাকার্যক্রম। এতে জেলার মোট ৬শ‘ ৯৯টি মসজিদ কেন্দ্রে শিশুদের সরকারিভাবেবাংলা, ইংরেজি, অংকের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ইসলামিকফাউন্ডেসন জানায়, শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার প্রসারেসারাদেশের সাথে বরিশালে ১৯৯৩ সাল থেকে এ কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমান সরকারক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে এর কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য বিগত সরকারেরবরাদ্দ ২শ‘ ১৬ কোটি টাকার স্থলে ৬শ‘ ৪৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। যার মাধ্যমেঅনেক অসহায়, দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারের সন্তানরা এখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষারহাতেখড়ি পায়। মূলত সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা বিস্তারেএ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানা যায়।
এখানেসাধারণত ‘প্রাক প্রাথমিক স্তর‘ ও ‘সহজ কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম‘ এ দুইভাগেশিক্ষা দান করা হয়। প্রাক প্রাথমিক স্তরে জেলায় মোট ৪শ‘ ৬৩টি কেন্দ্রেরমাধ্যমে ৬ বছরের নিচে সকল শিশুকে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রদান করা হয়। বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এর কার্যক্রম চলে।অপরদিকে ৬ বছরের বেশি বয়সের সকল শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিকতা প্রদানেরজন্য জেলায় মোট ২শ‘ ৩৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ‘সহজ কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম‘ পরিচালিত হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু মনে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোঁধ প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।প্রতিটি কেন্দ্রে একজন প্রশিক্ষিত শিক্ষকের মাধ্যমে শিশুদের এ শিক্ষা দেওয়াহয় বলে জানা গেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেসনের কর্মকর্তারা জানান, জেলারমসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রাক প্রাথমিক স্তরেরকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদরে কেন্দ্র রয়েছে ৯২টি, বানাড়ীপাড়ায় ৫০টি, বাবুগঞ্জে৫২টি, উজিরপুরে ৩১টি, অগৈলঝাড়ায় ৩৭টি, গৌরনদীতে ৩৫টি, মূলাদীতে ৩২টি, হিজলায় ৩০টি, মেহেন্দীগঞ্জে ৪৪টি ও বাকেরগঞ্জে ৬০টি। পাশাপাশি সহজ কোরআনশিক্ষা কার্যক্রমের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদরে ৪৫টি, বানাড়ীপাড়ায় ১৮টি, বাবুগঞ্জে ২৬টি, উজিরপুরে ১৭টি, আগৈলঝাড়ায় ২০টি, গৌরনদীতে ৩১টি, মূলাদীতে১৮টি, হিজলায় ১৮টি, মেহেন্দীগঞ্জে ২৬টি ও বাকেরগঞ্জে ১৮টি।
এব্যাপারে জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. নিজামউদ্দিন বলেন, সারাদেশের সাথে জেলায় শিশুদেরকে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাধারণশিক্ষার পাশাপাশি নীতি, নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করা হয়। জেলার বিভিন্নউপজেলা, ইউনিয়ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে ‘মসজিদ ভিত্তিক শিশু ওগণশিক্ষা কার্যক্রম‘র জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, এখানে প্রত্যেকশিশুর জন্য সরকারিভাবে বই, খাতা, সিলেট, চকসহ যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ দেওয়াহয়।
২৮ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম