শিক্ষা ডেস্ক: মাদারীপুরে গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্রাইমারি স্কুল বৃত্তির তালিকায় শহরের নামীদামি স্কুলের শীর্ষ মেধা তালিকার শিার্থীরা বৃত্তি না পাওয়ায় এবং তা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ না থাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। জেলা শহরের প্রথম শ্রেণীর প্রাইমারি স্কুলগুলোর বেশির ভাগ মেধাবী শিার্থী বঞ্চিত হওয়ায় স্কুল প্রধানসহ অভিভাবকদের মধ্যেও তীব্র ােভ বিরাজ করছে। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ তুলে ধরার পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান অভিভাবকেরা।
জেলা ও উপজেলা শিা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারই প্রথম প্রাইমারি সমাপনী পরীার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় পাঠানো হয়। শিকেরা তিন দিনের মধ্যে একেকজন ২০০ থেকে ২৫০টি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক জানান, এভাবে পরীার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেক েেত্রই ভুল থেকে যায়। এ কারণে স্কুলের পরীায় প্রথম দ্বিতীয় হওয়া অনেক মেধাবী শিার্থী জিপিএ ৫ পেলেও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
মাদারীপুর পৌর অপিস সংলগ্ন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক হুসনেয়ারা বেগম অভিযোগ করে জানান, তার স্কুলে গত তিন বছরের বৃত্তির রেজাল্টের সাথে বর্তমান বছরের রেজাল্ট তুলনামূলকভাবে খুবই হতাশাজনক। তার স্কুল থেকে ২০০৯ সালে ট্যালেন্টপুলে ২৫টি ও সাধারণ ছয়টি, ২০১০ সালে ট্যালেন্টপুলে ৩৩টি ও সাধারণ পাঁচটি, ২০১১ সালে ট্যালেন্টপুলে ৩৪টি ও সাধারণ ছয়টি কিন্তু এ বছর ট্যালেন্টপুলে মাত্র ২১টি ও সাধারন ছয়টি বৃত্তি পেয়েছে।
তিনি জানান, তার স্কুলে মেধাবী ১০-১২ জন শিার্থী বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ওই স্কুলের পরীায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী জান্নাতুল ফেরদৌস, দ্বিতীয় হওয়া মেঘলা সরকার, তৃতীয় হওয়া রাবেয়া আক্তার, চতুর্থ হওয়া ঝরা বর্মণ, ষষ্ঠ হওয়া সুমাইয়া শারমিন, সপ্তম হওয়া অনিকা আজাদ, যৌথভাবে নবম হওয়া সাথী মারজান ও তাসমিন তাহিয়া, ছেলেদের মধ্যে তৃতীয় হওয়া মিনহাজুল হাসান প্রীতম বৃত্তি পায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা শিা অফিসার মো: শহিদুল ইসলাম জানান, ওই সময় খাতা মূল্যায়নের জন্য জেলায় প্রায় ১৫০ জন আবেদন করে। এর মধ্যে কয়েকজনের নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক সঠিক তথ্য দিতে পারবেন। সরকারি নীতিমালায় খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ না থাকায় শুধু নম্বর গণনা করা হয় (রি-কাউন্ট)। এতে নামমাত্র কয়েকজনের নম্বর ভেরি করেছিল। ওই নম্বরই চূড়ান্ত করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম