ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক: কাঁচাবাজারে এখন এক কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। দিন দশেক আগেও ক্রেতারা এই পণ্যটি কিনতে পারতেন ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। অর্থাৎ ১০ দিনের ব্যবধানে রসুনের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা।
একই সময়ে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে গতকাল এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগি কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। দিন দশেক আগে এই মুরগি মিলত ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রসুন আর মুরগি ছাড়া বেশির ভাগ পণ্যই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য কিছু পণ্যের দাম দুই বা তিন সপ্তাহ আগে বেড়ে গিয়ে এখন দামের চড়া স্তরে মোটামুটি স্থির আছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গতকাল এক কেজি আলু ১৩ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও রামপুরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। দুটি বাজারেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মান ও আকারভেদে বেগুন ৪৫ থেকে ৬০, কাঁচা পেপে ২০ থেকে ২৫, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩০, গাজর ১৫ থেকে ২০, শিম ২৫ থেকে ৩০, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। সরবরাহ বাড়ার কারণে দেশি ও ভারত থেকে আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই কমে এসেছে। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৮ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চীনা ও দেশি রসুনের দামও কিছুটা বেড়েছে। কয়েক দিন আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি রসুনের দর ছিল গতকাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
এ মাসের শুরুতে বেড়েছিল চালের দাম। সেই দামেই এখনো বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৪২ থেকে ৪৮ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মাঝারি আকারের চাল (লতা ও বিআর-২৮, পারিজা) ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের একজন চাল বিক্রেতা বলেন, মিলের মালিকেরা বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন। তাই তাঁদের দাম কমানোর সুযোগ নেই।
আন্তর্জাতিক বাজারে উত্থান-পতন যা-ই হোক না কেন তেল পরিশোধনকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বোতলজাত তেলের দাম কমায় না। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ, খোলা সয়াবিন তেলের লিটার এখন ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা। অবশ্য খোলা সয়াবিন তেলের দাম অবশ্য কমেছে লিটারে পাঁচ টাকা।আন্তর্জাতিক বাজারদর বিশ্লেষণ করে অবশ্য ট্যারিফ কমিশন বলছে, খোলা সয়াবিন তেলের মিলগেট মূল্য হওয়া উচিত এখন ১০৬ টাকা লিটার।
বাজারে মসুর ডাল আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে মসুর ডাল (ছোট দানা) ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা এবং বড় দানার ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অনেক দিন ধরেই ডিমের বাজার স্থির। এখন এক হালি ফার্মের ডিম ৩৪ থেকে ৩৫ ও দেশি মুরগির ডিম ৪০ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
২৭ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম