২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩. কক্সবাজারে গ্যাস
গ্যাস বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদ। এর সাহায্যে দেশের শিল্পকারখানা চলে। বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় এ প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনা বিরল। তবু দেশের বহু সম্ভাবনাময় এলাকায় এ গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় মূল্যবান শিল্পকারখানা গড়ে উঠতে পারছে না। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অন্যতম। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের খ্যাতি থাকলেও একমাত্র গ্যাস সরবরাহ লাইন না থাকায় এ অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না।এমনকি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসংলগ্ন আজিজনগর এলাকায় স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় চার-পাঁচটি বড় বড় শিল্পকারখানা।একমাত্র গ্যাস সরবরাহ লাইনের অভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এই কারখানাগুলো তৎকালীন পাকিস্তান শাসনামল থেকেই ছিল লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এসব বন্ধ কলকারখানার হাজার হাজার শ্রমিক আজ অভাবের তাড়নায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যদি এই দক্ষিণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকায় গ্যাসলাইন চালু থাকত, তাহলে বন্ধ কারখানা চালুসহ শত শত নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা এবং এক শিল্পবিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছে অভিজ্ঞ মহল। হাজার হাজার বেকার শ্রমিকের মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে না।
তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে আকুল আবেদন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন চালুর মাধ্যমে অবহেলিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে শিল্পকারখানায় সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।
জি এম আমীর আহমদ
বার আউলিয়া, চট্টগ্রাম।
উপকূল এক্সপ্রেস
যোগাযোগের অন্যতম বাহন হচ্ছে রেলওয়ে। রেলভ্রমণ করে না এ রকম লোকসংখ্যা আমাদের দেশে খুবই কম। এর মধ্যে ঢাকা থেকে নোয়াখালী একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ। প্রতিদিন এই রেলপথে প্রচুর লোক যাওয়া-আসা করে। এই রেল ও পথে আন্তনগর ট্রেন একটি চলে। সেটি হলো ‘উপকূল এক্সপ্রেস’। ঢাকা থেকে ছাড়ার সঠিক সময় এটির বিকেল চারটায়। অনেক সময় দেরিও করে। আর নোয়াখালীতে পৌঁছার সঠিক সময় রাত সাড়ে ১০টা। আবার দেখা যায়, সেটি বেশির ভাগই পৌঁছে রাত ১২টা থেকে একটার দিকে। এত রাতে ট্রেন থেকে নেমে মানুষ কীভাবে তার গন্তব্যে যাবে। তা ছাড়া নোয়াখালী তো শহর নয়, গ্রামাঞ্চল। আর এত রাতে নোয়াখালী স্টেশনে রিকশা বা অটোরিকশা পাওয়া তো আরেক ঝামেলা।
এখন শহরের নিরাপত্তার যে অবস্থা, গ্রামাঞ্চল তার ধারেকাছেও নেই। গ্রাম-শহরের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। তা ছাড়া এখানে রাতে ট্রেনে ডাকাতি হয়। এই আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই সময় মেনে চলছে ২০১২ সালের জুন মাস থেকে। আগের সময়সূচি ছিল, সকাল সাতটায় ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে ছাড়ত এবং রাত সাড়ে নয়টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফিরত।ফলে যাত্রীরা নিরাপদে যাওয়া-আসা করত। কিন্তু এখন তা আর নেই।
এ অবস্থায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই চাওয়া, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে আগের সময়ে নেওয়া হোক অথবা বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
শাকিল আহমেদ
রামপুরা, ঢাকা।