হলুদের বাম্পার ফলন কিন্তু দাম নেই

0
265
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এবার হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছেতবে দাম কম হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি নেইঅবস্থাপন্ন কৃষকেরা বেশি দামের আশায় হলুদ শুকিয়ে সংরণ করতে পারলেও পুঁজি না থাকায় ুদ্র কৃষকেরা অনেক কম দামে হলুদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন

 

এক সময় মাঠজুড়ে যেসব জমিতে ধান দেখা যেত, সেখানে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদআগে শুধু বসতবাড়ির আশপাশে ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে হলুদচাষ হতোএখন মাঠজুড়ে পরিকল্পিতভাবে হলুদের আবাদ হচ্ছেবিভিন্ন ফসলের মাঠের এ দৃশ্য এখন সবার কাছে অতি পরিচিত

 

পাদন খরচ কম হওয়ায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে হলুদচাষহলুদের ছোঁয়ায় উপজেলার ১০ সহস্রাধিক মানুষের জীবন নতুন করে সাজানোর স্বপ্ন ছিল মনেহলুদ বিপ্লবভাগ্য ফেরানোর পরিবর্তে এখন পুঁজি বাঁচানোর দুশ্চিন্তা এসব অভাবী মানুষের

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্য মতে, উপজেলায় এবার ৩৫০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছেকৃষি বিভাগ হেক্টরে প্রায় দুই টন হলুদ উপাদনের আশা করছেনসেই হিসাবে এবার ৭৫০ টন হলুদ উপাদন হবে

 

হলুদচাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী উপজেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা দীর্ঘ দিন ধরে হলুদচাষ করে আসছেনদুই বছর আগেও হলুদের চড়া দাম ছিলকিন্তু গত বছর দাম অনেক পড়ে যায়হলুদচাষিরা আশা করেছিলেন, এবার ভালো দাম পাবেনতাই চাষিরা চলতি মওসুমে ব্যাপকভাবে হলুদচাষ করেন

 

গত বছর কুকুরমণি জাতের প্রতি মণ হলুদের দাম ছিল ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকাএবার তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়আর মালুঞ্চা, তারাগঞ্জ জাতের হলুদ ১০০ থেকে ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছেহলুদ তোলার শুরু থেকেই দাম কম হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে

 

হলুদচাষের জন্য প্রথমবার বীজ কিনলেই চলেপরে নিজের েেতর বীজ দিয়েই আবাদ করা যায়হলুদে রোগবালাই নেই বললেই চলে, তাই কীটনাশকের খরচ নেইগড়ে এক শতক জমিতে হলুদচাষে খরচ পড়ে দুই হাজার টাকার মতোওই জমিতে সাড়ে তিন থেকে চার মণ হলুদ পাওয়া যায়প্রতি মণ হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে এক হাজার আড়াই শটাকায়এতে পুঁজি বাঁচানোর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা

 

রাজাপুর গ্রামের কৃষক আকবর হোসেন জানান গত মওসুমেও পাইকারেরা বাড়ি বাড়ি এসে হলুদ কিনে নিয়ে যেতেনএখন পরিস্থিতি ভিন্নএবার বিক্রির জন্য হলুদ নিয়ে ক্রেতাদের পেছন  পেছন ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে

 

ধোয়াইলের গ্রামের হলুদ ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, ‘গত বছর উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় হলুদ বিক্রি করতে পারিনিটাকা আটকে আছেএবারো হলুদের দাম কমশেষ পর্যন্ত কী হবে, তা নিয়ে উকণ্ঠায় আছিতাই এবার হলুদ কেনার সাহস পাচ্ছি না

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফউদ্দিন আহম্মেদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছেতবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চাষিরা হতাশ

 

 

 

২৬ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম

 

শেয়ার করুন