সজনের বাম্পার ফলন

0
152
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক: সজনের ডাঁটা সবজি হিসেবে যেমন সুস্বাদু তেমনি এটি ঔষধি গুণসমৃদ্ধঅযত্ন আর অবহেলায় বসতবাড়ির আঙিনায় বেড়ে ওঠা সজনে ডাঁটার এ বছর পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বাম্পার ফলন হবেফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে সজনে গাছগুলোউপজেলার প্রতিটি বাড়িতেই ৩-৫টি করে সজনে গাছ আছেসজনের ডাঁটা বিক্রি করে প্রতি বছর বাড়তি আয় করে থাকেন এলাকার কৃষকেরাঅধিক মুনাফা লাভের আশায় অনেকেই আবার সজনের বাণিজ্যিক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বলে কৃষকরা জানানতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সজনে চাষে কোনোরকম খরচ হয় নাশুধু মাটিতে সজনের ডাঁটা পুঁতে রাখলেই তা সবার অজান্তেই গাছে পরিণত হয় এবং সজনে ডাঁটা জন্ম নেয়মৌসুমের শুরুতেই ৬০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়
উপজেলার সজনে ডাঁটা এলাকার চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়ে থাকেউপজেলার শরত্নগর, ভাঙ্গুড়া, ভেড়ামারা, অষ্টমনিষা, বেতুয়ানসহ বিভিন্ন হাটবাজার থেকে থেকে পাইকার এসে ৪শথেকে সাড়ে ৪শটাকা মণ দরে সজনে ডাঁটা কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যায়
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির কুমার সরকার জানান, অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার প্রতিটি সজিনার গাছে ব্যাপক ফলন হবে যা গ্রামের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য বদলে সহায়তা করবেকোনো ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ ও পরিচর্যা না করে প্রতিটি সজিনার গাছে ৯ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত সজিনা পাওয়া যায়সড়কের কোল ঘেঁষে রোপণ করার মাত্র ১ বছরেই ডালপালা ছেড়ে এসব গাছে রেকর্ড পরিমাণ সজিনা ধরেঅনেকে সজিনা বিক্রির টাকা দিয়ে গরু-ছাগল কিনে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৫শমেট্রিক টন সজিনার উত্পাদন হবেযার বাজার দর অনুযায়ী মূল্য প্রায় কোটি টাকাসবজি হিসেবে অত্যন্ত পুষ্টিকর এসব সজিনা এলাকার লোকজন তাদের খাবার চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে বিক্রি করে উপার্জন করছে বাড়তি আয়

 

২৬ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম

 

শেয়ার করুন