ডেস্ক রিপোর্ট: যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মিরপুরে জনসভার জন্য প্রস্তুত গণজাগরণ মঞ্চ।সোমবার বিকালে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বেরে এই গণজাগরণ সমাবেশকে মহাসমাবেশে পরিণত করার প্রত্যয় জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সমাবেশ রির্বিঘ্ন করতে দুপুর থেকেই ১০ নম্বর গোল চক্কর সংলগ্ন রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগাঁরগাও, সনি সিনেমা হল, ১৪ নম্বর এবং পল্লবী থেকে গোল চত্বরমুখী রাস্তায় যান চলাচল করছে না।মিরপুরের এই সমাবেশের আগেই আমাদের দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহামুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি এসেছে জাগরণ মঞ্চ থেকে। তা না হলে সোমবার মিরপুর থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এই আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ইমরান এইচ সরকার।অবশ্য বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি ।এদিকে একবিংশ দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। অন্য দিনের তুলনায় লোকসমাগম কিছুটা কম হলেও সকাল থেকেই শ্লোগানে মুখরিত রয়েছে শাহবাগ। শনিবার প্রজন্ম চত্বরের বাইরে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে প্রথম সমাবেশ করা হয় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। হাজার হাজার মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে ওই সমাবেশে উপস্থিত হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াতি শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শপথ নেন।রায়েরবাজারের পর প্রজন্ম চত্বরের বাইরে দ্বিতীয় জনসভা হতে যাচ্ছে মিরপুরে। এরপর বৃহস্পতিবার আরেকটি সমাবেশ হবে রাজধানীর বাণিজ্যকেন্দ্র মতিঝিলে।রোববার জাগরণমঞ্চবিরোধীরা সারা দেশে হরতাল ডাকলেও রাজধানীতে তাদের দেখা যায়নি। বরং হরতাল শাহবাগের প্রতিরোধের ডাকে সাড়া দিয়ে জাগরণ মঞ্চের মিছিলে যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ।শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর থেকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ মিছিলের অগ্রভাগে থাকেন প্রগতিশীল ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতারা।গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত এলাকায় জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব চলে।জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে তার ফাঁসির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগের এই আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শাহবাগের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সরকার ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করেছে। যার মধ্য দিয়ে কাদের মোল্লার সাজা বাড়াতে আপিলের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসাবে জামায়াতের বিচার করার পথ তৈরি হয়েছে। এদিকে প্রজন্ম চত্বরের মিডিয়া সেলে যুদ্ধারাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গণসাক্ষর কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সেখানে ভিড় করে স্বাক্ষর দিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
২৫ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম