কৃষি ডেস্ক: মাদারীপুরে আলুর দাম কমে যাওয়ায় আগাম আলু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন কৃষকেরা। আলুর দাম আরো কমে যাওয়ায় কৃষিঋণ পরিশোধ নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন আলুচাষিরা।কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর কৃষি ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে কৃষিঋণ নিয়ে আলুচাষ করেছিলেন মাদারীপুরের চাষিরা। কিন্তু মওসুমের শুরুতেই আলুর দাম কমে যাওয়ায় আগাম আলু তুলে কম দামে বিক্রি করছেন। এতে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়েই কৃষকেরা কৃষিঋণ পরিশোধ নিয়ে পড়েছেন শঙ্কায়।মাদারীপুরের কাজীবাকাই গ্রামের আলুচাষি দুলাল রুদ্র জানান, এ বছর তিনি কৃষি ব্যাংক থেকে ৬৪ হাজার টাকাসহ কয়েকটি এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিন একর জমিতে আলুচাষ করেছেন। কিন্তু আলু তোলার সঠিক সময়ের আগেই আলুর দাম বাজারে কমে যাওয়ায় তিনি এক মাস আগেই আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
একই গ্রামের আরেকজন আলুচাষি বিমল সরকার জানিয়েছেন, তিনিও আলুর দাম আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কায় আগাম আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আলুর ফলন ভালো হলেও এ বছর দাম নেই আলুতে।মাদারীপুরের শিবচর থানার সূর্যনগর গ্রামের আলুচাষি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘যে আশা নিয়ে ধারকর্য করে আলুচাষ করেছিলাম, সে আশার গুঁড়েবালি। আলুর দাম দিনে দিনে কমতেছে।’মাদারীপুর কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আলুচাষের ৪৩৫ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫৫৩ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদারীপুর সদরে ৮ হেক্টর, কালকিনিতে ২০০ হেক্টর, ডাসারে ১২০ হেক্টর, রাজৈরে ২৫ হেক্টর ও শিবচরে ১২০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মাদারীপুর জেলার আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এই এলাকায় ডায়মন্ড ও কার্ডিনান আলুই বেশি আবাদ করা হয়েছে। তবে আলুর দাম এখন কিছুটা কম হলেও কিছু দিন পরে আলু দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।’তবে কৃষকদের আলু তুলে সাথে সাথে বিক্রি না করে কিছু দিন সংরক্ষণ করে বিক্রি করার পরামর্শ দিলেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
২৫ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম