ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক: দেশের শেয়ারবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। আগের কয়েক দিনের টানা দরপতনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এই দরপতন ঘটেছে। কমেছে লেনদেনও।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক এদিন প্রায় আড়াই শতাংশ বা ১১০ পয়েন্ট কমেছে। নতুন চালু হওয়া সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ৯৭ পয়েন্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ বা ৩২১ পয়েন্ট।
এই দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দরপতন ঘটতে থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বাজার-সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠেছে।
জানতে চাইলে ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী প্রথম আলোকে জানান, গতকালের বাজারের আচরণ দেখে এটিকে স্বাভাবিক পতন বলে মনে হচ্ছে না। এই পতনে কিছুটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে।
শাকিল রিজভী আরও জানান, কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের অস্বাভাবিক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। লোকসান কমানোর আশায় অনেকে হাতে থাকা মৌলভিত্তির শেয়ার বিক্রি করে নতুন কোম্পানির প্রতি ঝুঁকছেন। সে ক্ষেত্রে ওই সব কোম্পানির আর্থিক অবস্থার সঙ্গে বাজারমূল্য সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।তাই পুরোনো অথচ মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের বিক্রির চাপ বেড়ে যাচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সূচকে।
কসমোপলিটন ফিন্যান্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন ডিএসইর সাধারণ সূচকের পতনের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল গ্রামীণফোন, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, তিতাস গ্যাস, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মার মতো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর। এই পাঁচ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের কারণেই ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে প্রায় এক শতাংশ।
ঢাকার বাজারে গতকাল ২৬১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৩১টিরই দরপতন ঘটেছে।দিনশেষে ঢাকার বাজারে লেনদেন নেমে এসেছে ২৯৬ কোটি টাকায়, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৩৮ কোটি টাকা কম।
চট্টগ্রামের বাজারের সার্বিক সূচক কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৭১৫ পয়েন্টে। দিনশেষে সেখানকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা কম।
২৫ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম