স্পোর্টস ডেস্ক: স্পেনের দুই প্রান্তের দুই শহর। মাঝখানে এক হাজার কিলোমিটারের ব্যবধান।কিন্তু পরশু রাতে বার্সেলোনা ও করুনিয়া শহর দুটি মিলে গেল যেন একই বিন্দুতে। করুনিয়ায় খেলতে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা খেলেছে নিজেদের মাঠে। স্পেনের দুই ‘দৈত্য’ই প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল। দুই দলই জিতেছে একই স্কোরলাইনে (২-১)। দুই দলের হয়েই জয়সূচক গোল দুটি করেছেন দুই আর্জেন্টাইন। গঞ্জালো হিগুয়েইনের গোলে জিতেছে রিয়াল। পরের ম্যাচে লিগে নিজের টানা ১৫তম ম্যাচে গোল করে বার্সাকে জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি।
৩৫ মিনিটে রিয়ালের জালে প্রথম গোলটা দেপোর্তিভো লা করুনিয়াই দিয়েছিল। সেই গোল শোধ দিতে রিয়ালকে ঘাম ঝরাতে হয়েছে বিস্তর। ৭৩ মিনিটে সমতা ফিরিয়েছেন কাকা। ৮৮ মিনিটে হিগুয়েইনের সেই জয়সূচক গোল। রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটা যেমন কাকা করেছেন, বার্সার প্রথম গোলটিও ‘অচেনা মুখ’ হয়ে যাওয়া ডেভিড ভিয়ার।মেসির পাশাপাশি জর্ডি রৌরা আরেকজন গোলশিকারি খুঁজছেন হন্যে হয়ে।অ্যালেক্সিস সানচেজ, পেদ্রো দুজনই চরম বাজে ফর্মে। সেস ফ্যাব্রিগাসও ধারাবাহিক নন। মেসিকে বোতলবন্দী করলেই বার্সা শেষ—এসি মিলান আগের ম্যাচেই সেটা উপপাদ্যের মতো প্রমাণ করে দিয়েছে।
বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটি মিলানে খেলে এসে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে মাত্র দুই দিন সময় পেয়েছে বার্সা। সেই ক্লান্তি দেখা দিচ্ছিল হঠাৎ হঠাৎ।প্রথম মিনিট কুড়ি মেসিকেও যেন চেনা যাচ্ছিল না। সেই সুযোগে প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে এগিয়ে যায় সেভিয়াই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য দারুণ খেলছিল বার্সা। ৫২ মিনিটে দানি আলভেজের দুর্দান্ত ক্রস থেকে সমতা ফেরান ভিয়া।রৌরাকে বার্তাও পাঠান, তিনি প্রস্তুত। আট মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি।সেভিয়া অবশ্য শেষ দিকে ২-২ করে ফেলার একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
মঙ্গলবারের কোপা ডেল রে এল ক্লাসিকোর আগে শেষ পর্যন্ত দুই দলই আক্ষরিক অর্থেই ঘাম ঝরিয়ে নিল। মঙ্গলবারের ম্যাচটি মাথায় রেখে দলের তিন মূল অস্ত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মেসুত ওজিল আর স্যামি খেদিরাকে প্রথম একাদশে রাখেননি মরিনহো। ৫৭ মিনিটে এই তিনজনকেই অবশ্য মাঠে নামিয়ে দেন রিয়াল কোচ। রৌরাও প্রথম একাদশে রাখেননি জাভি, সার্জিও বুসকেটস ও পেদ্রোকে। আগের ম্যাচের পরাজয় সামলে দলের ফিরে আসাটা তৃপ্তি দিচ্ছে বার্সার ভারপ্রাপ্ত কোচকে, ‘আমরা একটা ম্যাচে হারতেও পারি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আপনি কীভাবে সেটি সামলে নিচ্ছেন। দলের প্রতিক্রিয়াকে আমি বলব দুর্দান্ত।’ এএফপি, রয়টার্স।
এই ম্যাচে তাঁকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে ভিয়ার গোল। রৌরা সেটিও স্বীকার করেছেন। স্পেন জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ভিয়াও বলেছেন, প্রথম একাদশে আরও নিয়মিত সুযোগ চান। এই একই কথা বলেছেন কাকাও, ‘আমার জন্য পরিস্থিতি ভালো থেকে আরও ভালো হয়ে উঠছে। কোচের কাছে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারছি। মৌসুমের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টায় আমাকে শারীরিকভাবেও ভালো থাকতে হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম