নীলফামারী : নীলফামারীতে পরক্ষীয়া প্রেমের টানে এবং নিজ সন্তানের সম্পতির লোভে একমাত্র ছেলেকে ক্রীতদাস করে রাখার অভিযোগ তুলে গর্ভধারীনি মা বসুমতি রায়ে বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মেয়ে বনানী রানী রায়।
গতকাল দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এসময় বনানীর বাবা জ্যোতিশ চন্দ্র রায় ও বনানীর স্বামী সতিন্দ্র নাথ বর্মণ নয়ন উপস্থিত ছিলেন। জ্যোতিশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি জেলা সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছড়ি গ্রামে।
্অশ্রু ঝড়া নয়নে বনানী রায় অভিযোগ করেন, আমার গর্ভধারীনি মা বসুমতি নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পরিবার কল্যাণ সহায়িকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে অদ্যাবদি। আমার ও ছোট ভাই জীবনে জন্মর আগে মায়ের বিয়ে হয় সুবিন চন্দ্র রায় নামক এক পুরুষের সাথে। সে সময় তাদের ঘরে জন্ম গ্রহণ করে ববিতা নামে এক মেয়ে সন্তান।
এর পর সুবিন চন্দ্র রায়ের মৃত্যু ঘটে। এদিকে প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর বসুমতি ভালোবেসে বিয়ের করেন লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছড়ি গ্রামের জ্যোতিশ চন্দ্র রায়কে। আমি ও আমার ছোট ভাই জীবন আমরা মাযের দ্বিতীয় স্বামী জ্যোতিশ রায়ের সন্তান। কিন্তু সৎ বোনের বিয়ের দু’বছর পর থেকে ভগ্নিপতি মানিক তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমার পিত্রালয়ে অবস্থান করে আসছে আজঅবদি। আর এই ভগ্নিপতি মানিকের সাথে আমার মা বসুমিতর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে র্দীঘ দিনের।
আমি তাদের অবৈধ মেলামেশা দেখে ফেলায় আমাকে পাগল বলে র্র্দীঘ দিন বাড়ীতে আটক করে রাখে। এরপর এলাকার মানুষের সহযোগীতায় আমি মুক্তি পায়। এর কিছু দিন পর আমার মা বাবা জ্যোতিশ চন্দ্র রায়কে তালাক দেন।
এর পরেও তিনি ক্ষান্ত হননি। বাবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ এনে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন মা বসুমতি। কিন্তু আমার বাবা নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় মাননীয় আদালত বাবাকে মামলা হতে অব্যাহতি দেন।।
আমার গর্ভধারীনি মা বসুমতি রায়ের অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার আমি, আমার পিতা ও আমার ১৭ বছর বয়সী ছোটভাই। ভাগ্যগুনে নিজ চেষ্টায় ও শুভাকাঙ্খিদের সহায়তায় ডাইনীরুপের এই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার পেয়েছি আমি ও আমার পিতা। কিন্তু অবুঝ ছোট ভাইকে রাক্ষুসী রুপী মা বসুমতির হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। যার ফলে আমার ছোট ভাই জীবন রায় রাক্ষুসী বসুমতি ও তার প্রেমক নিজের কন্যা সন্তানের জামাই মানিক মানুষিকের অত্যাচার, নিপীড়ন ও শাররীক এবং মানুষক নির্যাতনের শিকার হয়ে সেখানে ক্রীতদাসে পরিনত হয়েছে। তাই আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমি আমার ভাইকে আমার কাছে ফেরৎ চাই।
এদিকে মায়ের এ অত্যাচারে আমার বাবা ভেঙ্গে পড়ার কারণে এবং আমার ভবিষ্যৎ চিন্তা করায় এই অভিযোগ আনতে পারেনি। আমি নিজ প্রচেষ্টায় ও বাবার সহযোগীতায় লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে বিবাহিত হয়ে ঘরসংসার করছি।
কিন্তু চোখের সামনে ছোটভাইয়ে ওপড় যে নির্যাতন চলছে তা সহ্য করতে না পেরে আমি আমার বাবাকে সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
ফেব্রুয়ারী ২৪,২০১৩