কক্সবাজার ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

0
302
Print Friendly, PDF & Email

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় রোববার সকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অনন্ত ৮ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় পেকুয়া জামায়াত ও বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় অনন্ত ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল লতিফ জুয়েল (৩০), ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের আরও পাঁচ কর্মী এবং জামায়াত নেতা ডা. হারুনুর রশিদ (৪০) ও মাওলানা হাবিবুর রহমান (৩০।
এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুল লতিফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় রোববার বেলা ১১টার দিকে জামায়াত-শিবিরের একদল কর্মী হরতালের সমর্থনে পিকেটিং শুরু করে। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের বাধা  দেয়। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মুহূর্তের মধ্যে মাদ্রাসার মসজিদ থেকে মাইকিং করে শিবির কর্মীরাসহ বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়। এর পর শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে অনন্ত ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, ছাত্রদল সভাপতি ইউছুফ রুবেলসহ বিএনপি জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে।
এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক আবদুল লতিফ জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের আরও পাঁচ কর্মী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরে দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি জড়িত নয়। জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদ জানান, আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপরে হামলার ঘটনার জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জামায়াত জড়িত নয়। আহত হারুন ও মাওলানা হাবিবুর মাদ্রাসা শিক্ষক। তারা জামায়াতের সঙ্গে জড়িত নয়। এ ঘটনায় জামায়াতের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

পেকুয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, সমননা ইসলামী ১২ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। কক্সবাজার থেকে দুরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে না গেলেও শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কে রিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সি চলালচল করছে।  

 ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৩

শেয়ার করুন