বেনাপোল (যশোর): ইসলামী ও সমমনা দলের ডাকা রোববারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) হরতালে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দর, কাস্টমস হাউজ, ব্যাংক ও দোকান-পাট খোলা রয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভারত থেকে ফিরে আসা কয়েকশ’ পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোলের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারের সামনে আটকে রয়েছে।নিকটবর্তী যাত্রীদের বিকল্প বাহন হিসেবে মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমনে করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
বেনাপোলে অবস্থিত সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার মো. মফিজ উদ্দীন জানান, হরতালে সহিংসতার আশঙ্কায় মালিকের নির্দেশে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। হরতাল শেষ হলে সন্ধ্যায় গাড়ি ছাড়া হবে। যাত্রীরা কাউন্টারে বসে সময় অতিবাহিত করছেন।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, হরতালের খবর আগে থেকে জানায় দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল অন্য দিনের চেয়ে কম রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল আউয়াল হাওলাদার জানান, হরতালের সমর্থনে এখানে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে আসেনা। হরতালের মধ্যে বন্দর গুদাম থেকে আমদানি পণ্য লোড, আনলোড হচ্ছে। তবে হরতাল শেষে এসব ট্রাক বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ছেড়ে যাবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফারুক হোসেন ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছয়রুদ্দিন জানান, এখনও পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতালের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে মিছিল সমাবেশ করেছে। কিন্তু হরতালের সমর্থনে রাস্তায় কাউকে দেখা যায়নি। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৩