মানিকগঞ্জ থেকে: মানিকগঞ্জে সিংগাইরে হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে ৫ জনের নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সোমবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিংগাইরের গোবিন্দল গ্রামের এ সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে মহিলাসহ ৫জন নিহত হয়। সংঘর্ষের এই ঘটনায় সিংগাইর থানার ওসি লিয়াকতসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। হরতাল সমর্থকদের মধ্যে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
এর বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ বলে খবর পাওয়া গেছে।
সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে গুলিবিদ্ধ ৩০জনকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেলে ১৭জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বলে মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট আবাদুজ্জামান শিমুল জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত হেলেনা, শাহ আলম (২৮), আলমগীর (২৭)নাজিম উদ্দিন (৩০) ও নাসির উদ্দীনের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ ও ঢাকা মেডিকেল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোবিন্দল গ্রামে হরতাল সমর্থকরা মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩০জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিঙ্গাইর উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চারজনের মৃত্যু হয়।পরে ঢাকা মেডিকেলে আরও ১জনের মৃত্যু হয়।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পুলিশের পক্ষে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, রোববার সারাদেশে কয়েকটি ইসলামী দলের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। এতে সমর্থন দেয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
`মহানবীর (সা.)মর্যাদা রক্ষা` আইন প্রণয়ন ও রাসূলকে (সা.) অবমাননাকারী ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার গণজমায়েতের ডাক দেয় ধর্মভিত্তিক দলগুলো। তারা জোটবদ্ধভাবে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে কর্মসূচি দেয়।
তবে জামায়াত শিবিরের সহিংসতায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পণ্ড হয়ে যায় গণজমায়েত। পুলিশের গুলিতে আহত হয় অর্ধশতাধিক। আটক হয় ১৭২ জন। এর প্রতিবাদে রোববারের এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৩