আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: মালির উত্তরাঞ্চলে এক ভয়াবহ সংঘর্ষে ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন বাহিনী শাদের ১৩ জন সৈন্য ও ৬৫ জন ইসলামি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গত মাসে ফ্রান্সের বাহিনী পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পর এটি দেশটিতে দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে রড় ধরনের প্রতিরোধের ঘটনা। আলজাজিরা/রয়টার্স।
দেশটির ইসলামি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ছয় সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া ফরাসি ও আফ্রিকার সেনাদের যৌথ অভিযান চলাকালে গত শুক্রবার এ ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাদের সেনাবাহিনী সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
মালির আলজেরীয় সীমান্তবর্তী আদরার দেস ইফোগাস পার্বত্যাঞ্চলে এই লড়াই সংঘটিত হয়। শাদের রাষ্ট্রীয় বেতারে সেনাবাহিনীর এক জেনারেলের পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, শত্রুদের পাঁচটি যান ধ্বংস ও ৬৫ জন নিহত হয়েছে। আর আমাদের ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে।চলতি মাসের প্রথম দিকে শাদ উত্তরাঞ্চলের কিদাল এলাকায় ১৮০০ সৈন্য মোতায়েন করে। এভাবে দেশটি ইসলামি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদেরকে রণাঙ্গনে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে।
এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের তেসালি শহরে জাতিগত তুয়ারেগ বাহিনীকে লক্ষ্য করে চালানো দু’টি আত্মঘাতী হামলায় তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছে।
জানুয়ারিতে ফ্রান্স পশ্চিম আফ্রিকায় তাদের সাবেক উপনিবেশ মালিতে ইসলামি গেরিলাদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। মালির উত্তরাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহর আল কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত ইসলামি যোদ্ধারা ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে দখল করে নিয়েছিল। ফরাসি খ্রিষ্টান সেনাবাহিনী মালির ইসলামি গেরিলাদের হটাতে অভিযান শুরু করে। এরপর তারা এ অভিযানে প্রতিবেশী আফ্রিকান দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে সংশ্লিষ্ট করতে সক্ষম হয়। মালিতে শাদ দুই হাজার সেনা পাঠিয়েছে। মার্চে শাদ ও মালির সেনাবাহিনীর হাতে নেতৃত্ব হস্তান্তর করে ফরাসি সেনাবাহিনীর ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে মালির দুর্বল সেনাবাহিনী আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ইসলামি যোদ্ধাদের হামলা শামাল দিতে পারবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, তারা শাদে ফরাসি বাহিনীর সহায়তা করতে নাইজারে কয়েকটি ড্রোন মোতায়েন করেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম