ঢাকা: ইসলামী সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল প্রতিহত করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে লাঠি মিছিল হয়েছে। পুরান ঢাকা, সদর ঘাট, কারওয়ানবাজার, মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন ও বঙ্গবন্ধু কৃষি পরিষদ।
রোববার সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পরিষদ কারওয়ানবাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে লাঠি মিছিল বের করে। সংগঠনের সভাপতি মোবরক হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলে শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেয়। মিছিলটি কারওয়ান বাজার, সোনারগাঁও হোটেলের সামনের এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি লাঠি মিছিলটি মহাখালী ওয়ারলেস এলাকা প্রদক্ষিণ করে। একই এলাকায় মিছিল করে ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরঘাট এলাকা থেকে একটি লাঠি মিছিল বের করে। মিছিলটি পাটুয়াটুলি, ইসলামপুর, ওয়াইজঘাট ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।
বিআইডব্লিউটিএ ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মহর চান বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য এই হরতাল প্রতিহত করতে আমরা মাঠে নেমেছি। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবি করেন।”
শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে এক ব্লগারের কথিত ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে সমমনা দলগুলোর ডাকা এই হরতালে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থন দিয়েছে।
মিছিল থেকে জামায়াত-শিবির বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়।
তবে হরতালের সমর্থনে মাঠে তেমন পিকেটিং হতে দেখা যায়নি। সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদের ধলপুর এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি টহল গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করেছে পিকেটাররা। জনপথ মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি লেগুনাতেও আগুন দেয়া হয়েছে।
হরতালে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে ফাঁকি গুলি ছুড়েছে পুলিশ। ধানমন্ডিতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ-র্যব মোতায়েন রয়েছে। রাতেই নামানো হয়েছে বিজিবি সদস্য।
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৩