স্পোর্টস ডেস্ক: আপনি এমন এক সময়ে এসেছেন, যখন অস্কার পিস্টোরিয়াসের মামলার শুনানি চলছে।পিস্টোরিয়াসের এ ঘটনা ক্রীড়াতারকাদের ওপর আরেকবার অন্য রকমভাবে দৃষ্টি ফেরাল। আপনি কি মনে করেন, পেশাদার অ্যাথলেটদের ওপর অনেক চাপ? রজার ফেদেরার: প্রত্যেকে এই চাপ ভিন্ন ভিন্নভাবে সামাল দেয়। আমাকে সব সময়ই অন্যতম সেরা এক প্রতিভা বিবেচনা করা হতো। যার একসময় এক নম্বর খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তার পরও আমি সাফল্য পেয়েছি ধীরে ধীরে। তাই আমার কাছে এক নম্বর হওয়া বা উইম্বলডন জেতাটা বড় বিস্ময় ছিল না। তারকাখ্যাতি সামলানো, লালগালিচা, ছবির পর ছবি তোলা, প্রতিদিন অজস্র লোক আপনাকে চিনবে, আপনাকে অনুসরণ করবে—এসবের অনুভূতি একটু অন্য রকম। আপনি পছন্দ করুন আর না-ই করুন, এটা আপনার জীবনে মজার একটা প্রভাবও ফেলতে পারে। কেউ কেউ এর থেকে পালিয়ে থাকে। কেউ সাদরে বরণ করে নেয়। আমি এই দুইয়ের মাঝখানের পথ বেছে নিয়েছি।
এই ব্যস্ততার মধ্যেও অবসরের সময় বের করে আনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?l
ফেদেরার: আমার কাছে ছুটি এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো অনুশীলনের সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুই সপ্তাহ যদি না-ও হয়, অন্তত ১০ দিনের ছুটি কাটানোর চেষ্টা করি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরেই যেমন দুই সপ্তাহের ছুটিতে ছিলাম। এ সময়টা শুধু পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। ছুটি না নিলে প্রাত্যহিক এই যে চাপ, মানুষের বাহবা, অটোগ্রাফ সই, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া, ম্যাচ খেলা, চাপ, শত শত মানুষ—এসব সামলাতে পারতাম না।
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তো আপনার বিশেষ সম্পর্ক।l
ফেদেরার: দক্ষিণ আফ্রিকা আমার হূদয়ে আছে আমার মায়ের জন্য। কারণ, আমার মা এখানকারই, এখানে অনেক সময় কাটিয়েছেন। বিশ্বের এ অংশটাকে আমার সবচেয়ে আপন মনে হয়।
আপনার যমজ দুই মেয়ের বয়স তো প্রায় চার বছর হয়ে গেল। পরিবারের দায়িত্ব কি আপনাকে এগোতে সাহায্য করেছে, নাকি বাধার সৃষ্টি করেছে?l
ফেদেরার: অনেকেই বলছিল বলে আমিও ভেবে নিয়েছিলাম, এটা হয়তো আমাকে খানিকটা পিছিয়েই দিচ্ছে। কিন্তু পরে যখন প্রমাণ করে দিতে পারলাম, পরিবার থাকার পরও আমার পক্ষে ভালো খেলা সম্ভব, এটা আমাকে অন্য রকম এক আনন্দই এনে দিয়েছে। আমার শুধু পরিবারই হয়নি, যমজ মেয়েও হয়েছে। ফলে প্রথম বছরগুলোয় এই দায়িত্ববোধ অনেক তীব্র ছিল। এখনো তা-ই আছে। কিন্তু আমি এটা সামলে নিয়েছি। আমার চমৎকার একজন স্ত্রী আছে, যে আমাকে এত এত সমর্থন দেয়, অনায়াসে এত ভ্রমণ করে।রটারডামে (গত টুর্নামেন্টে) আমি একাই গিয়েছিলাম। কেমন যেন লাগছিল! কে জানে, হয়তো এ কারণেই ভালো খেলিনি। আমি ওদের খুব মিস করেছি।
২৩ ফেব্রুয়ারী/নিউজরুম