গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় ২ জন নিহত ও ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পুলিশ সুপার নাহিদ ইসলাম একজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করলেও গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল সূত্রে ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তাক্ষণিকভাবে নিহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় সোহেল (২৫), সজিত(১৮) ও পাপুল মিয়া নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড রাইফেল গুলি ছোঁড়ে বলে জানান এসপি নাহিদ।
শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে এ সংর্ঘষ শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।
অন্যদিকে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত গাইবান্ধা শহরে সংঘর্ষ চলে। এ সময় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। গাইবান্ধা শহরের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামায়াত-শিবির কর্মীরা দুপুরে জু’মার নামাজের পরে গাইবান্ধার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের করে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের কাচারী বাজারে এলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়।
এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এসময় পুলিশ তারা মিয়া, মুন, সেকেন্দার ও মঞ্জু মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করে।
অপরদিকে পলাশবাড়িতে জামায়াত-শিবির দা কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি ঢাকা রংপুর মহাসড়কের চৌমাথা এলাকায় এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ অসংখ্য রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
জেলা পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান,হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এ নাশকতা চালাচ্ছে।
পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছোঁড়ে এবং কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৩