কৃষি ডেস্ক(২১ ফেব্রুয়ারী): দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষিভিত্তিক কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। এতে এ উপজেলায় চলতি অর্থবছরে উন্নত পদ্ধতিতে ফসল ও বীজ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্তকর্তারা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৬ হেক্টর। এর মধ্যে একফসলি ৯০০, দুইফসলি ২২ হাজার ৮৬৬ ও তিন ফসলি জমির পরিমান দুই হাজার ২৫০ হেক্টর।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, উপজেলায় কৃষিক্ষেত্রে উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের অভিজ্ঞতার অভাব, উন্নত জাতের বীজের অভাব, খরা মৌসুমে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকা, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির অভাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। কৃষিভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ না করা হলে উপজেলার কৃষকেরা পিছিয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আখেরুর রহমান জানান, প্রতিবছর কৃষি অধিদপ্তর উন্নত পদ্ধতিতে ফসল ও বীজ উৎপাদন এবং কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে এ উপজেলার কৃষকদের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। এ বছর প্রকল্প গ্রহণ না করায় সমস্যা হবে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ারুল আলম জানান, প্রকল্পগুলো একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের হয়। নবাবগঞ্জে ইতিপূর্বে নেওয়া প্রকল্পগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে এ বছর কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্প গ্রহণ না করায় ওই উপজেলার কৃষিক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
নিউজরুম