আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(২১ ফেব্রুয়ারী): মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাজেটে বেশি পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ কমানো হলে মানুষ চাকরি হারাবে। বাজেট ঘাটতি কমাতে মার্কিন বাজেটে বরাদ্দ কমানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আগামী ১ মার্চ তা কার্যকর হওয়ার কথা। এরই মধ্যে এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ওবামা।
হোয়াইট হাউসের জরুরি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে ওবামা বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি কমাতে বাজেটে সাড়ে আট হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ কমানো হবে ক্ষতিকর। এটা ঠিক হবে না। এর ফলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, মানুষ চাকরি হারাবে।’
বাজেটে বরাদ্দ কমানোর পরিকল্পনার প্রভাব ইতিমধ্যে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগে লাগতে শুরু করেছে। যার প্রমাণ মার্কিন নৌবাহিনীর একটি রণতরী উপসাগরে মোতায়েন করতে সময় নিচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাজেটে বরাদ্দ কমানো সুবিবেচনা-প্রসূত কোনো কাজ হবে না। এটা হলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যে অস্থিতিশীলতা চলছে, সেদিকে আমাদের ভূমিকা রাখার সামর্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।’ ওবামা রাজস্ব আয় বাড়াতে কর ফাঁকি রোধে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধের প্রস্তাব করেছেন।
সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতারা গত সপ্তাহে বাজেটের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। ওবামা সেই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন।ওই পরিকল্পনায় বিশেষ করে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস খাতে কর ফাঁকি রোধে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধের প্রস্তাব করা হয়। তবে ওই পরিকল্পনায় ওবামার স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক খাতে সরকারের ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলো নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ডেমোক্র্যাটদের ওই পরিকল্পনা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি রিপাবলিকান নেতারা।
ওবামা সরকার অবশ্য চলতি বছর ইতিমধ্যে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পথ পেয়েছে। বছরে সাড়ে চার লাখ ডলারের বেশি অর্থ আয় করে, এমন পরিবারের কর বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে কংগ্রেস।
প্রেসিডেন্টের আশঙ্কার জবাব দিতে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার জন বোয়েনার জানান, মার্কিন জনগণ জানে রাজস্ব নিয়ে বিতর্ক এখন শেষ হয়েছে। ওয়াশিংটনের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টিকে আর সমর্থন করা উচিত হবে না।
মার্কিন কংগ্রেসকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে বাজেট ঘাটতি কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই বাজেট ঘাটতি কমানোর বিষয়টি মার্কিন ‘ফিসক্যাল ক্লিফের’ সঙ্গে সম্পর্কিত। ফিসক্যাল ক্লিফ এড়াতে গত ১ জানুয়ারি কর বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তখন সরকারি ব্যয় হ্রাসের জন্য মার্চ পর্যন্ত সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিবিসি।
নিউজরুম