পাম চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে কৃষক

0
157
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক(২০ ফেব্রুয়ারী):প্রায় সাড়ে তিনি বছর আগে গ্রীণ বাংলাদেশ নামক একটি কোম্পানির  কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বিভিন্নগ্রামের মানুষ অধিক লাভের শুরু হয় পাম চাষকোম্পানীর লোভনীয় কথায় এ এলাকার কৃষকরা  গুরুত্ব সহকারে পাম চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েসারা বছর পরিশ্র্রমের পর এখন গাছে গাছে থোকায় থোকায় পাম ফলভালো ফলন পেয়ে  কৃষকরা খুবই খুশিকিন্তু এ খুশি যে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কপালেকারণ এ ফলের সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন পদ্ধতি জানা নেই অত্র এলাকার  কৃষকদেরএদিকে গাছ লাগানোর এক বছর পর গ্রীণ বাংলাদেশ নামক কোম্পানীর প্রতিনিধিরাও  উধাও হয়ে যায়তাই এ ফল নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন উপজেলার পাম চাষীরা
উপজেলার ভাতঘরা গ্রামের পাম চাষি মাহবুব জানান, তিনি এক বিঘা  জমিতে পাম চাষ করেছেনসাড়ে ৩ বছর আগে লাগানো গাছগুলো এখন পরিপূর্ণ ফল দিতে শুরু করেছেএখন পাম ভাঙ্গিয়ে তেল বের করার পালা,আর সেখানেই বিপত্তিপাম ভাঙানোর কোনা মেশিন না থাকায় এবং চাষিরা পাম প্রক্রিয়াজাতের সঙ্গে পরিচিত না হওয়ায় সঠিক প্রক্রিয়ায় পাম থেকে তেল উপাদন অথবা পামবীজ বিপণন করতে পারছেন নামাহবুব আরো জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রীণ বাংলাদেশের কাছ থেকে বিভিন্ন এলাকার চাষীরা প্রায় ৮হাজার পামের চারা ক্রয় করে রোপন করেফল আসায় আনন্দিত হয়েছিলেন চাষীরা কিন্তু সেই আনন্দ বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননিকারণ গাছে ফল থাকলেও  ফলের ক্রেতা নেইপাম চাষী মিজানুর রহমান জানান, তিনি গ্রীণ বাংলাদেশ নামক কোম্পানীর কাছ থেকে একটি গাছ ৮শ টাকা দরে ৪০টি পাম গাছ ক্রয় করেছিলেন
কোম্পানীর প্রতিনিধিরা ৩ বছর পরিচর্যা করবেন এবং ফল আসলে তা বিক্রির ব্যবস্থা করবেনকিন্তু গাছ লাগানোর এক মাস পর কোম্পানীর প্রতিনিধি গা ঢাকা দেয়বড় ঘিঘাটি গ্রামের আরিজ মিয়া জানান তিনি ২০টি পাম গাছ ক্রয় করেন ২২০ টাকা দামেহাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন পাম বাগানেগাছে ফলও এসেছে কিন্তু ফলের ক্রেতা নেইগাছ কেটে অন্য কিছু করবেন না রেখে দিবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন নাশুধু মাহবুব,মিজান, আরিজ নয় উপজেলার দুলাল মুন্দিয়ার তাজুলএকতারপুরের মুক্তার হোসেন, ডাঃ মোহাম্মদ, বাবরা গ্রামের তোরাব আলী, নিশ্চিন্তপুরের টিটো, পান্তাপাড়ার ওমর ফারুক, বারবাজারের আরশেদ আলীসহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা একই সমস্যায় ভুগছেনএ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, কালীগঞ্জে কি পরিমান পাম চাষ হয়েছে তার সঠিক হিসাব নেইএমনকি পাম চাষ করার জন্য কোন কৃষককে উসাহিত করা হয়নি বর্তমানে যারা পাম চাষ করেছে তারা মেশিনের অভাবে তেল তৈরি করতে পারছে নাকৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন পাম তেল তৈরির মেশিনের দাম প্রায় ১ কোটি টাকা এবং মেশিনটি মালয়েশিয়া থেকে কিনে আনতে হয়

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন