ঢাকা: তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঢাকা থাকছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ এর আশপাশের এলাকা।
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নাশকতা ঠেকাতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ সহযোগিতায় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হচ্ছে র্যাব-পুলিশের সাড়ে আট হাজার সদস্য।
এদিকে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীতেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যে কোনো বিশৃঙ্খলা এবং নাশকতা ঠেকাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং এর চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার সকালে র্যাব সদস্যরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তার সর্বশেষ প্রস্তুতির মহড়া দিয়েছেন। র্যাবের ডগ স্কোয়াড ও ডিবির বোমা বিশেষজ্ঞ দল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় বোমা শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে তল্লাশি করে।
র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান বুধবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা মহড়া পর্যবেক্ষণ করেন।
দিবসটি ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। এজন্য নিয়োজিত থাকবেন র্যাবের পাঁচ শতাধিক সদস্য।
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ১৩টি চেকপোস্ট ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকবে।
শহীদ মিনারের আশপাশে স্থাপন করা হবে অত্যাধুনিক চারটি পিটিজেড কন্ট্রোলারসহ ৩০টির মতো সিসিটিভি। আধুনিক ওই চারটি পিটিজেড কন্ট্রোলারে এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা যায় বলে র্যাব সূত্র জানিয়েছে।
র্যাব সূত্র আরও জানায়, শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরের গণআন্দোলনকে সামনে রেখে গতবারের চেয়ে এবার নিরাপত্তার দিকে বেশি দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
একুশে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তায় র্যাব-৩ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিনটি সেক্টরে ১৩টি পর্যবেক্ষণ ও চেকপোস্টসহ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক র্যাব সদস্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল ও ডগস্কোয়াড সারাক্ষণ তৎপর থাকবে নিরাপত্তার কাজে। ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তার জন্য রোড ব্যারিকেড, পুলিশ পিকেট, ফুট পেট্রোল, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন, মোবাইল পেট্রোল, লাইনিং চেকিং ব্যবস্থা, আর্চওয়ে, সিসিটিভি, সিসি ক্যামেরা, সোয়াত টিম, বোমা নিষ্ক্রিয় দল, ফায়ার টেন্ডার, জেনারেটর পাহারা এবং সাব কন্ট্রোল রুম থাকছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, “বুধবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার অংশ হিসেবে শহীদ মিনারের আশপাশে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ও মেটাল ডিটেক্টরসহ আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যাওয়া মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে কিছু সড়ক বন্ধ ও কিছু সড়কে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে সন্ধ্যার পর থেকে।”
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৩