সারাদেশে বেলুনের সঙ্গে উড়লো একটি করে চিঠি

0
185
Print Friendly, PDF & Email

গণজাগরণ চত্বর : বুধবার বিকেল ৪টা ১৩ মিনিটে সকল শহীদের স্মরণে সারাদেশে বেলুনের সঙ্গে উড়লো একটি করে চিঠি। শাহবাগের গণজাগরণ চত্বর থেকেও উড়লো শহীদদের নামে এ চিঠি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ৪টা ১৩ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মুহূর্তটি স্মরণ করে এ কর্মসূচি পালিত হলো।
গণজাগরণ চত্বরের আন্দোলনকারীদের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্লগার রাজীব ও শান্ত এবং অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার কর্মচারী জাফরের স্মরণে চিঠি উড়ানো হয়।
জামায়াত-শিবিরের হামলায় ব্লগার রাজীব ও ব্যাংক কর্মচারী জাফর খুন হন। আন্দোলন চলাকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান শান্ত।
গত সোমবার গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার বেলুনের সঙ্গে চিঠি উড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ওই দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাগরণ মঞ্চে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যা হবে গণজাগরণ চত্বরের তৃতীয় সমাবেশ। ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম সমাবেশ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাগরণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় গণজাগরণ চত্বরে।
এছাড়া ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় ৩ মিনিট নীরবতা পালন কর্মসূচি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচিতেও ব্যাপক সাড়া পড়ে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের বুধবার চলছে ১৬তম দিন। এই আন্দোলনের ঢেউ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রবাসেও। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছে।প্রতিদিনই যেনো বাড়ছে এ গণজোয়ারে আসা মানুষের সংখ্যা।

কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শাহবাগ মোড়ে এই বিক্ষোভের সূচনা করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ আন্দোলনে যোগ দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

 ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৩

শেয়ার করুন