১টা কিনলে ১ট‍া ফ্রি

0
209
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক(২০ ফেব্রুয়ারী): নাগেশ্বরীতে এক কেজি চালে ১৫ কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছেএর পরও বিক্রি না হওয়ায় ক্রেতা আকৃষ্ট করতে চলছে মাইকিংউপজেলা কৃষি অফিস জানায়, অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারে এ উপজেলায় ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছেলক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৮০ হেক্টর জমিতেমওসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করে কিছু লাভ হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি দুই টাকা দরেক্রেতা সংগ্রহে মাইক লাগিয়ে প্রচার করা হচ্ছে একটি নিলে একটি ফ্রিতার পরও অবিক্রীত থাকছে অনেক ফুলকপিবাধ্য হয়ে ফেরার পথে সেগুলো তারা ফেলে দিয়ে যাচ্ছেঅনেকে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেনউপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি হাটে গিয়ে দেখা গেছে একই অবস্থাগতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভিতরবন্দ বাজারে সবজিহাটে রসূলপুর গ্রামের কৃষক বাবু মিয়ার তিন বিঘা জমিতে প্রায় পাঁচ হাজার ফুলকপি উপাদন হয়েছেমূল্য কমে যাওয়ায় হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসা ফুলকপি অবিক্রীত রয়ে গেছেঅন্য এক বিক্রেতা দোকানের পাশে মাইক লাগিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে অনবরত বলে যাচ্ছেন আসেন ভাই! আসেন, প্রতি কেজি ফুলকপি এক টাকা আর একটি কিনলে একটি ফ্রিদেরিতে এলে পাবেন না

 

অপর কৃষক জলিল জানান, চলতি মওসুমে আট বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে তার উপাদন খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকাবর্তমান পরিস্থিতিতে তা উঠে আসা সম্ভাবনা নেইমূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছেকৃষক নাইম উদ্দিন জানান, একই অবস্থা তার ক্ষেত্রেওচার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেনবাম্পার ফলন হওয়ায় বাজারে আমদানি বেশি, বিক্রি কমবাধ্য হয়ে অবিক্রীত ফুলকপি গরুকে খাওয়াচ্ছিঅন্য দিকে সবজি কিনতে আসা চণ্ডিপুরের দিনমজুর বাচ্চু শেখ বলেন, আমরা গরিব মানুষকপির দাম কম হওয়ায় ভালোই হয়েছে

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, এবারে রোগবালাই ছিল নাফলে কপির ফলন ভালো হয়েছে

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন