স্পোর্টস ডেস্ক(২০ ফেব্রুয়ারী): গ্রামীণফোন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় পর্ব থেকেই শিরোপার রেস থেকে পিছিয়ে গেছে বিজেএমসি, মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে লড়াইটা চলছে মূলত চতুর্থ স্থানের জন্য। দ্বিতীয় লেগে মোহামেডান পর পর দুই খেলায় না হারলে পয়েন্ট টেবিলের চিত্রটা হতো অন্য রকম। মোহামেডান শিবিরে খেলোয়াড়দের টাকা নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে বিরোধের পরপরই তারা পরাজিত হয় ব্রাদার্স এবং শেখ জামালের কাছে। শেখ রাসেলকে হারিয়ে ইতিবাচক দিক নিয়ে ফিরে আসে ঐতিহ্যবাহী দলটি।
গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মোহামেডান ১-০ গোলে পরাজিত করে আরামবাগ ক্রীড়া সঙ্ঘকে। ১২ খেলায় সাত পয়েন্ট নিয়ে আরামবাগ ফেনী সকারের সাথে তলানিতে। বিজেএমসিকে টপকে মোহামেডান ২০ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে। উভয় দলের পেনাল্টি মিস ছিল গতকালের প্রধান আকর্ষণ। ১৩ মিনিটে আরামবাগের পেনাল্টি সীমানায় জেরার্ড মোহামেডানের মরিসনকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান।মরসিনের দুর্দান্ত শর্ট পোস্টের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে গিয়ে পড়ে। ৬৮ মিনিটে মোহামেডানের বক্সে ইয়াসিন অবৈধভাবে বাধা দেয় আরামবাগের খালেদ আহমেদকে। রেফারির পেনাল্টির বলি। কেস্টার সেকেন্ড বারে শর্ট নিয়ে কিপার মামুন খান বাম দিকে ডাইভ দিয়ে রক্ষা করেন সাদাকালো শিবিরকে। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি মিসের পর ২০ মিনিটে সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণে প্রথম গোল আদায় করে নেয় মোহামেডান। মরিসন থেকে সিসান আইডু বল পেয়ে মাইনাস করেন মোবারককে। মোবারক সুন্দর প্লেসিং শটে পরাস্ত করেন আরামাবাগের কিপারকে (১-০)। প্রথমার্ধ নিজের করে নিয়েছে মোহামেডান। ২৭, ৩৫, ৪১, ৪৫ মিনিটে আক্রমণগুলোর সার্থক রূপ দিতে পারেনি মরিসন ডামিয়ান সিসান ও সোহেল।
দ্বিতীয়ার্ধে শুধু একটিই প্রতিষ্ঠিত আক্রমণ করতে পারে মোহামেডান।কিন্তু সফল হয়নি। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি মিসের পর জোয়েলের হেড অসাধারণভাবে সেভ করে মোহামেডানের কিপার মামুন খান। এ ছাড়া ৭৬, ৮০, ৮৫ ও ৯১ মিনিটের আক্রমণগুলো খেলার ফলাফল পাল্টে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। ৭৬ মিনিটে তো খালেদের প্লেসিং শটে আগুয়ান কিপার পরাস্ত হলে বাইবেক কিয়ার ধরে নিশ্চিত ড্রয়ের হাত থেকে বাঁচান সাইফুল বারি টিটুর দলকে।
আজ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত খেলা বন্ধ থাকবে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের। বাংলাদেশ জাতীয় দল অংশ নেয়ার জন্য।
নিউজরুম