ঢাকা: এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারী ও ‘মাইনাস টু’র প্রেতাত্মারা এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ‘ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের কারাগারে ৬১৬ দিন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, “আমাদের সজাগ থাকতে হবে, কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির পায়তারা করছে।’ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে দেশের ভোট ও ভাতের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল করতে তিনি দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
ওয়ান ইলেভেনের সরকারের উদাহরণ দিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীও ১১ মাস জেলে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসলে ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনের বিচার করবেন, কিন্তু তিনি তা করেননি, বরং তাদের সঙ্গে আপস করে ক্ষমতায় এসেছেন।”
তিনি ওয়ান ইলেভেনের ‘রাজনৈতিক’ ঝড়ের সময় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনী সহায়তা দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় রাখার জন্য ব্যারিস্টার রফিক উল হককে ধন্যবাদ জানান।
ওয়ান ইলেভেনের সরকার দুদক ও আদালতের অপব্যবহার করেছে উল্লেখ করে মওদুদ আহমেদ বলেন, “এজন্যই তাদের আমলে দণ্ডিত কাউকেই সাজা ভোগ করতে হয়নি। পরে সবাই ছাড়া পেয়েছেন।”
দুই বছরে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দেশকে লন্ডভণ্ড করে দিয়েছে উল্লেখ করে মওদুদ আহমেদ বলেন ‘ওই সময়ে দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা দেশকে একশ’ থেকে দুইশ’ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচারপতিরা তখন সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারেননি।’
তিনি এ সময় আ’লীগ নেতা শেখ সেলিমের নাম উল্লেখ করে বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের সময় তার ওপর যে নির্যাতন চলেছিলো তা শেখ সেলিম এখন ভুলে গিয়েছেন।”
ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় আটক রাজনীতিবিদদের ওপর কঠোর নির্যাতন চালানো হয় উল্লেখ করে মওদুদ আহমেদ এর তীব্র সমালোচনা করেন। এছাড়া ওয়ান ইলেভেনের সরকার তারেক রহমানকে হত্যা করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘এজন্যই আটকের ৪২ দিন পর্যন্ত তাকে আদালতে নেওয়া হয়নি’।
বাংলার মাটিতেই ওয়ান ইলেভেনের হোতাদের বিচার হবে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘যদি তাদের বিচার না হয় তবে জাতি ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকবে।’
তিনি বলেন, “ওয়াদা দিয়েও প্রধানমন্ত্রী ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের বিচার করেনি। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের বিচার করবে।”
এসময় বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক উল হক, বিএনপির সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৩