ঢাকা : সোমবার সকাল পৌনে ৯ টায় দুই শিবির নেতা রিয়াদ হোসেন ও জাকিরকে রিংরোড এলাকা থেকেপুলিশ গ্রেফতার করে। দুই শিবির নেতাকে সুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার করে তেজগাঁওশিল্পাঞ্চল থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাদের পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলিকরে। প্রচার বিভাগের সদস্য জামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্যজানানো হয়।
বিবৃতে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত অবস্থায়পুলিশ গ্রেফতারকৃত রিয়াদকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ও জাকিরকে পঙ্গুহাসপাতালে ভর্তি করে। রিয়াদের পা থেকে অপারেশন করে পাঁচটি গুলি বের করাহয়েছে। এখনো তার পায়ে দুটি গুলি রয়ে গেছে।গুলি করার পাশাপাশি দুই শিবির নেতাকেই পুলিশ থানায় নিয়ে নির্যাতন করেছে।এছাড়া সকালে পুলিশ রিংরোড ও বাড্ডা এলাকা থেকে আরো তিন শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।এদিকে দুই শিবির নেতাকে থানায় নিয়ে এভাবে গুলি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
একযৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন ওসেক্রেটারী জেনারেল আবদুল জব্বার বলেন, পুলিশের এই বর্বর আচরণ কোনভাবেইমেনে নেয়া যায় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশ এভাবে গুলি করারসাহস পাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
এই অমানবিক আচরণের দায় সংশ্লিষ্টথানার ওসি থেকে শুরু করে ডিএমপি কমিশনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউই এড়াতেপারেন না বলে তারা বিবৃতিতে জানিয়েছেন। এমনিতেই জনগন বিভিন্ন কারণে পুলিশেরওপর ক্ষিপ্ত। এ ধরণের ঘটনা জনগনকে আরো ক্ষুব্ধ করে তুলবে। এর আগেও শিবিরনেতাকর্মীদের হাতে-পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের এইআচরণের পুনরাবৃত্তি হলে বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটবে।সরকারেরউচিৎ অবিলম্বে এ ধরণের মানবাধিকার লংঘনকারী আচরণ থেকে সরে আসা। অন্যথায় এধরণের পুলিশি আচরণ বুমেরাং হয়ে একদিন তাদের দিকেই ফিরে আসতে পারে। একইবিবৃতি তারা তাদের নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শিবির নেতাদেরসুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতিআহ্বান জানান।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩